AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Paush Purnima 2023: নতুন বছরের প্রথম পূর্ণিমা কখন পড়বে, জানুন তারিখ, শুভ সময় এবং পুজোর পদ্ধতি

Method of Worship: পৌষ পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা স্নান এবং দানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে ভগবান সূর্যকে জল নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ কর্ম বলে বিবেচিত হয়। আসুন জেনে নিই ২০২৩ সালের পৌষ পূর্ণিমা কবে এবং এই দিনের পূজা পদ্ধতি কী।

Paush Purnima 2023: নতুন বছরের প্রথম পূর্ণিমা কখন পড়বে, জানুন তারিখ, শুভ সময় এবং পুজোর পদ্ধতি
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2022 | 6:05 AM
Share

হিন্দু ধর্মে (Hinduism) পৌষ মাসের পূর্ণিমার (Poush Purnima 2023) বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। প্রতি বছর এই তিথিটি পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমায় পড়ে। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৩ সালে, পৌষ মাসের পূর্ণিমা পড়েছে ৬ জানুয়ারি শুক্রবার। পূর্ণিমার দিনটি স্নান, দান এবং আচার-অনুষ্ঠানের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে করা ধর্মীয় কাজের ফল মেলে বহুগুণ বেশি। একইসঙ্গে, এই বিশ্বাসও রয়েছ যে এই দিনে বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাট এবং প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করা অত্যন্ত শুভ। কথিত আছে, এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করলে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই ২০২৩ সালের প্রথম পূর্ণিমা কখন পড়ছে, কোনটি শুভ সময় এবং এই দিনের পূজা পদ্ধতি কী।

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ২০২৩ সালের পৌষ পূর্ণিমা পড়তে চলেছে ৬ জানুয়ারি শুক্রবার। পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ৬ জানুয়ারি সকাল ২টা ১৪ মিনিটে। অন্যদিকে, পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ৬ জানুয়ারি স্নান ও দান করা উচিত। তাতে পুণ্য লাভ হয়।

পূজা বিধি

হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, পৌষ পূর্ণিমার দিনে ব্রাহ্ম মহূর্তে ঘুম থেকে উঠে পবিত্র নদীতে স্নান করা শুভ। এই দিনে গঙ্গায় স্নানের সুযোগ না থাকলে স্নানের জলে গঙ্গার জল মিশিয়ে স্নান করা যেতে পারে। পৌষ পূর্ণিমায় একটি শুভ সময়ে গঙ্গা স্নানের পর পরিষ্কার কাপড় পরুন। এরপর প্রথমে সূর্যদেবকে জল নিবেদন করুন। সূর্য দেবকে জল নিবেদনের সময় ওম শ্রী সাবিত্রী সূর্য নারায়ণায় নমঃ মন্ত্র জপ করুন। সূর্যদেবকে জল অর্পণ করার সময় উদীয়মান সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে জলে তিল মিশিয়ে তাঁকে নিবেদন করুন। এর পর ভগবান বিষ্ণুর পূজা করুন। ভগবান বিষ্ণুর পূজার সময় তাঁকে জল, রঙিন চাল, তিল, সিঁদুর চন্দন, ফুল, ফল, পঞ্চগব্য, সুপারি, দূর্বা ইত্যাদি নিবেদন করুন। পূজা শেষে ভগবান বিষ্ণুর আরতি করুন।

পৌষ পূর্ণিমায় গঙ্গাস্নানের গুরুত্ব

পৌষ পূর্ণিমার দিনে পবিত্র নদী ও পুকুরে বিশেষ করে গঙ্গা নদীতে স্নান করা খুবই পুণ্যের কাজ। এই কারণেই এই দিনে, ভক্তরা বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে এবং প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেন পুণ্যলাভের আশায়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে পবিত্র স্নানের পরে দান করলে মানুষের সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। এর পাশাপাশি এই দিনে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করারও একটি বিশেষ বিধান রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে কেউ এই দিনে গঙ্গা স্নানের পরে উদীয়মান সূর্যকে জল অর্পণ করেন, তিনি মোক্ষ লাভ করেন।