একজন নারীর জীবনে গর্ভধারণ করা বিরাট এক ব্যাপার! একটি নতুন প্রাণের জন্ম দেওয়া প্রকৃতপক্ষেই পরম হর্ষের এক মুহূর্ত। এরপর একজন নারীর অনেকখানি সময় কেটে যায় ওই ছোট্ট প্রাণকে সমাজে চলার উপযুক্ত করে তুলতে। জ্যোতিষশাস্ত্রমতে, একটি শিশু বড় হয়ে কোন পথে এগবে, তার কর্মযোগ কেমন হবে, সে কতখানি মান্যগণ্য হয়ে উঠবে তার অনেকখানি নির্ভর করে গর্ভসঞ্চার থেকে শিশুর জন্ম পর্যন্ত সময়কালে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থানের উপর। তাই একজন সন্তানসম্ভবা যদি গর্ভধারণকালে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলেন তাহলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ ভ্রূণে! দেখা যাক সেই নিয়মগুলি কী কী—
প্রথম মাস – ৯ মাস একজন নারী তাঁর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন। এই দীর্ঘ সময়কালে গর্ভস্থ ভ্রূণও উদ্বেগ ভোগ করে। শান্তি অনুভব করার ক্ষমতাও থাকে তার মধ্যে। সবই সে অনুভব করে মায়ের মাধ্যমেই! প্রেমের গ্রহ শুক্র, গর্ভধারণের প্রথম মাসে সবচাইতে ভালো ফলাফল দেয়। দুর্বল শুক্র কিন্তু মায়ের পক্ষে ভালো নয়। তাই হবু বাবার উচিত ঘরবাড়ি এই সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
দ্বিতীয় মাস – এই মাসে মঙ্গলের প্রভাব শুরু হয়। রক্ত এবং হাড়ের ওপর মঙ্গলের প্রভাব থাকে। সুতরাং মঙ্গলের দৃষ্টি মঙ্গলময় হলে একটি বাচ্চার হাড় ও রক্তও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। এই মাসে মশলাদার খাবার মোটেই খাওয়া যাবে না। এই সময়কালে সন্তানসম্ভবা মা ডান হাতে একটি তামার বালা পরে থাকতে পারলে শুভ ফল মেলে।
তৃতীয় মাস – বৃহস্পতির গোচরাধীনে থাকে গর্ভস্থ সন্তান। বৃহঃস্পতি দেয় উজ্জ্বল ত্বক এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ে অনুরাগ।
চতুর্থ মাস – এই সময়কালে সূর্যের গোচরাধীনে থাকে মা ও তার গর্ভস্থ সন্তান। সূর্যের দৃষ্টির প্রভাব পড়ে সন্তানের স্বাস্থ্যে। মানসিক স্বাস্থ্য এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তৈরি হয় সূর্যের শুভ প্রভাবে। এই মাসে জল পানের সময় তামার পাত্র ব্যবহার করুন।
পঞ্চম মাস – চন্দ্রের মাস। চন্দ্র সংহত থাকলে একজন মানুষের চঞ্চলতা দূর হয়। মানসিক চিন্তার প্রবাহ স্থির পথে এগয়। তাই এই মাসে অভিভাবকরা চন্দ্রের উপাসনা করুন। সম্ভব হলে রুপোর গ্লাসে জল পান করুন।
ষষ্ঠ মাস – শনি গ্রহের নজরে থাকে এই সময়ে মা ও গর্ভের সন্তান। শনির শুভ প্রভাবে শক্তিশালী স্নায়ুতন্ত্র তৈরি হয়। তাই এই সময়কালে এমন খাদ্য খাওয়া যাবে না যা পাকস্থলীতে গ্যাস জমতে ইন্ধন জোগায়। বরং খেয়াল রাখুন খাদ্যে যেন আয়রনের উপযুক্ত জোগান বজায় থাকে।
সপ্তম মাস – এই মাস থাকে বুধের অধীনে। গর্ভের অন্দরেই শিশু মানসিকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে বুধের শুভ প্রভাবে। বুধ ভালো হলে তাই বাচ্চা হয় বুদ্ধিমান, চালাক। এই সময়কালে উপযুক্ত পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি খাওয়া উচিত সন্তানসম্ভবাব মায়ের।
অষ্টম মাস- এই মাসে আপনি যে ধর্মেরই হন না কেন, প্রতিমুহূর্তে ইষ্টদেবতার নাম স্মরণ করুন। তিনিই আপনার সন্তানের মঙ্গল করবেন।
নবম মাস- এবার সন্তানের জন্মের সময় আগত। এই মাসেও চন্দ্রের প্রভাব থাকে। তবে আগের মতো আচার পালন না করে বরং সবরকম ভালো আচার-আচরণ পালন করাই বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: Akshaya Tritiya 2022: অক্ষয় তৃতীয়ায় বিরল রাজযোগ, শুভ দিনে কী করবেন আর কী করবেন না, জানুন