সত্যনারায়ণের নৈবেদ্য সাজানোর নিয়ম না মানলে হতে পারে অমঙ্গল!

গবেষকদের মতে, বাংলার সত্যনারায়ণ-সত্যপীর ধারণাটি হিন্দু ও মুসলমান সংস্কৃতির সংমিশ্রণের ফল। তবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে কোনও শুভ অনুষ্ঠান বা বাড়ির কোনও শুভ সূচনা হলে নায়ারণ পুজো দেওয়া হয়।

সত্যনারায়ণের নৈবেদ্য সাজানোর নিয়ম না মানলে হতে পারে অমঙ্গল!
সত্যনারায়ণের পুজো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2021 | 8:25 PM

হিন্দু শাস্ত্রমতে, সত্যনারায়ণ হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণু ও নারায়ণের একটি বিশেষ মূর্তি। সত্যনারায়ণের পাঁচালি ও ব্রতকথায় উল্লিখিত কাহিনি অনুযায়ী, সত্যনারায়ণ পীরের ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজের পূজা প্রচলন করেছিলেন। গবেষকদের মতে, বাংলার সত্যনারায়ণ-সত্যপীর ধারণাটি হিন্দু ও মুসলমান সংস্কৃতির সংমিশ্রণের ফল। তবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে কোনও শুভ অনুষ্ঠান বা বাড়ির কোনও শুভ সূচনা হলে নায়ারণ পুজো দেওয়া হয়।এছাড়া হিন্দুদের বিশ্বাস, সত্যনারায়ণের আর্শীবাদ থাকলে সব বাধাই বিঘ্ন হতে পারে। তিথি-নক্ষত্র দেখেই এই পুজোর নিয়ম-আচার পালন করা হয়।

এই পুজোর জন্যপ্রয়োজন সম্পূর্ণ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গা। আলপনা দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়। বিষ্ণুর মূর্তিটি স্নান করানোর পর দুধ, ফুল ও শিষ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই পুজোর জন্য যে নৈবেদ্য সাজিয়ে রাখা হয়, সেগুলি হল- সিন্দুর, ঘট ১, পিঁড়ে ১, পাতন বস্ত্র ১, তীর ৪, পান ২৫, সুপারি ২৫, কলা ৩২, তিল, হরিতকী, পুষ্প, দূর্ব্বা, তুলসী, বিল্বপত্র, ধূপ, দীপ, ধুনা, নৈবেদ্য ১, কুচা নৈবেদ্য ১, পূজার বস্ত্র ২, আসনাঙ্গুরীয়ক ১, মধুপর্কের বাটী ১, দধি, মধু, ঘৃত, চিনি, কাঁচাসিন্নি-ময়দা বা শালিচূর্ণ, গুড় বা চিনি, দুগ্ধ প্রতিটি দেড় সের বা এক পোয়া এক ছটাক হিসাবে। পাকপ সিন্নি-সন্দেশ এবং বাতাসা প্রতিটি দেড় সের বা এক পোয়া এক ছটাক হিসাবে, ফুলের তোড়া ৫, পতাকা ৫, ছুরি ১, দক্ষিণা।

আরও পড়ুন: ঘরে শিবলিঙ্গ রয়েছে? কোথায়,কোনদিকে শিবের মূর্তি রাখলে সব অমঙ্গল দূর হবে

সত্যনারায়ণ পুজোর নৈবেদ্য করার কিছু নিয়ম-

– এই পুজোর জন্য যে রেকাবিতে নৈবেদ্য রাখা হয়, তা প্রথমে তেঁতুল দিয়ে পরিস্কার করে রাখা নিয়ম – পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় নৈবেদ্য রাখা প্রয়োজন – সকালে উপবাস করে তবেই এই পুজোর নৈবেদ্য সাজাবার অনুমতি মেলে। – পুজোর সরঞ্জাম ঠিক করার সময় নীল কাপড় পরবেন না, তাতে গৃহে অমঙ্গল হতে পারে -সত্য়নারায়ণের পাশাপাশি লক্ষ্মী ঠাকুরের জন্যও নৈবেদ্য সাজান