AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sandhi Puja 2023: এই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই সারতে হবে সন্ধিপুজো! কখন অঞ্জলি দিলে জীবন হবে সার্থক?

Durga Puja 2023: মহাসন্ধিপুজোয় দেবী মহামায়াকে ষোলোপচার নিবেদন করে পুজো করা হয়। আগে পশুবলির মাধ্যমে পুজোর আয়োজন করা হত। বর্তমানে, বলিপ্রথা নিষিদ্ধ হওয়ায় মাংস ও রক্ত ও মদ নিবেদন কর দেবীকে আরাধনা করা হয়। এছাড়া এই সময় ১০৮ টি পদ্ম ও ১০৮টি মাটির প্রদীপ ও নিবেদন করা হয়।

Sandhi Puja 2023: এই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই সারতে হবে সন্ধিপুজো! কখন অঞ্জলি দিলে জীবন হবে সার্থক?
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2023 | 2:40 PM
Share

সন্ধিপুজো হল দুর্গাপুজোর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি অধ্যায় বা পর্ব। মহাষ্টমী ও মহানবমীর সন্ধিক্ষণেই বিশেষ আচার মেনে পালিত হয় এই গুরুত্বপূর্ণ শুভক্ষণ। দুর্গাপুজোর নিয়ম অনুসারে, অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও মহানবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট নিয়ে মো ৪৮ মিনিটের মধ্যে এই পুজো পালিত হয়। মহাষ্টমীর সকালে অঞ্জলি না দিলেও সন্ধিপুজো অঞ্জলি ও পুজো করা অপরিহার্য। সন্ধি কথার অর্থ হল মিলন। মনে করা হয়, সন্ধিপুজোয় যোগ দিলে সারা বছর দুর্গাপুজো না করেও সেই ফল পাওয়া সম্ভব।

শাস্ত্র ও পুরাণ মতে, এই সন্ধিক্ষণেই দেবী চামুণ্ডার রূপ ধারণ করেন। সেই রূপেই তাঁকে পুজো করা হয়। তন্ত্র মতে, সন্ধিপুজো শুভলগ্নেই দেবী দুর্গার মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। এই পুজো পুরোটাই তান্ত্রিক মতে পালিত হয়। সন্ধিপুজোর তাত্‍পর্য ও গুরুত্ব নিহিত রয়েছে গোটা দুর্গাপুজোয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে অষ্টমীর তিথির বিদায় বেলায় ও নবমীর আগমেনর সন্ধিক্ষণের সঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে মহিষাসুর বধের কাহিনি। এই দুই তিথির মিলনপর্বেই দেবী পার্বতী দুর্গারূপে আবির্ভূতা হয়েছিলেন। এই সময় দুষ্ট মহিষাসুরকে বধ করতে দেবী দুর্গা চামুণ্ডা রূপ ধারণ করেছিলেন। শুধু অসুর নয়, সঙ্গী দুই সেনাপতি চণ্ড ও মুণ্ডকেও বধ করেছিলেন। সেই থেকে দেবীর অপর নাম চামুণ্ডা। চণ্ড ও মুণ্ডকে মহাসন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন বলেই সন্ধিপুজোর বিশেষ আয়োজন করা হয়।

মহাসন্ধিপুজোয় দেবী মহামায়াকে ষোলোপচার নিবেদন করে পুজো করা হয়। আগে পশুবলির মাধ্যমে পুজোর আয়োজন করা হত। বর্তমানে, বলিপ্রথা নিষিদ্ধ হওয়ায় মাংস ও রক্ত ও মদ নিবেদন কর দেবীকে আরাধনা করা হয়। এছাড়া এই সময় ১০৮ টি পদ্ম ও ১০৮টি মাটির প্রদীপ ও নিবেদন করা হয়। সন্ধিপুজোয় এই পদ্ম ও প্রদীপ অন্য মাত্রা প্রদান করে। পদ্ম হল ভক্তির প্রতীক। আর প্রদীপ হল জ্ঞানের প্রতীক। পৌরাণিত কাহিনি মতে, চণ্ড ও মুণ্ড হল মানুষের মনের নিকৃষ্ট প্রবৃত্তির প্রতীক। যে প্রবৃত্তি ভোগ, কাম, ত্যাগের প্রতীক। যদি কোনও ব্যক্তি মোক্ষলাভের আশায় দেবীর বন্দনা করেন, তখন তাঁকে এই তিন প্রবৃত্তিকে দূরে সরিয়ে রেখে দেবী চণ্ডীর পুজো করতে সক্ষম হবেন।

সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল ও ১০৮টি প্রদীপ না নিবেদন করা পর্যন্ত দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না। সন্ধিপুজোর সঙ্গে নানা রীতি ও আচার। এই সন্ধিপুজোর সময় কেউ কেউ উপবাস রাখেন, আবার কেউ কেউ সারাদিন উপোস রেখে সন্ধিব্রত পালন করে থাকেন। মনে করা হয় এই সময় সেই ভক্ত মৃত্যু ও দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন। শুধু তাই নয়, জীবনের সায়াহ্নেও যম তাঁকে স্পর্শ করতে পারবেন না। মনে করা হয়, সারা বছর দুর্গার আরাধনা না করলেও এই সন্ধিপুজোয় উপোস রেখে পুজো ও অঞ্জলি দিলে, ভক্তি ভরে সন্ধিপুজোয় যোগ দিলে কখনও বিফলে যাবে না। সংসারে আসে মঙ্গলের জোয়াড়। এদিন দেবীর নাম ও মন্ত্র উচ্চারণ করলে দারুণ ফল পেতে পারেন।

এ বছর সন্ধিপুজো কখন পালিত হবে?

মহাষ্টমীর দিনে ৪ই কার্তিক ,১৪৩০ বঙ্গাব্দে, রবিবার অর্থাত্‍ ২২ অক্টোবর।

সন্ধিপুজোর পূর্ণাঙ্গ সময়: সন্ধ্যে ৭টা ৩৮ মিনিট থেকে ৮টা ২২ মিনিটের মধ্যে।