
হিন্দু ধর্মে শনিশ্চরি অমাবস্যার (Shanichari Amavasya)বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভাদ্রপদ মাসের অমাবস্যা, শনিবার ২৭শে অগস্ট, বছরের শেষ অমাবস্যা। শনিবার অমাবস্যা তিথি পড়ার কারণে এটিকে শনিশ্চরি অমাবস্যাও বলা হয়। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই দিনে, দান ও শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা হয়। আসলে শনিবার অমাবস্যা পড়ার কারণে এর গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়। এবার শনিশ্চরি অমাবস্যায় পদ্ম ও শিব নামের যোগ তৈরি হচ্ছে, ফলে যারা শনির অশুভ প্রভাবে (Effects of Shani)ভুগছেন তাদের জন্য এই দিনে দানের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। তাই যাঁরা শনির কোনও মহাদশায় আক্রান্ত হন, তাঁরা এই দিনে কিছু সহজ নিয়ম পালন করলে শনির অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
শনির অশুভ প্রভাব কমিয়ে ফেলুন এইসব উপায়ে
১. এই দিনে সুস্বাদু ক্ষীর তৈরি করুন এবং কোনও দরিদ্র বা ব্রাহ্মণকে খাওয়ান। এতে করে শনির অশুভ প্রভাব কমে যাবে। আপনি যদি ক্ষীর বানাতে না পারেন তবে আপনি উরদ ডালের খিচুড়ি তৈরি করে কোনও গরীব বা ব্রাহ্মণকে খাওয়াতে পারেন।
২. যদি কোনও ব্যক্তির উপর শনির অন্তর্দশা, মহাদশা, ধৈর্য এবং সাড়ে সাতি দশা হয়, তাহলে শনিশ্চরি অমাবস্যার দিন একটি লোহার পাত্রে সরিষার তেল ভরে সেই পাত্রে নিজের মুখ দেখুন। এর পর যে কোনও অভাবীকে এই তেল দিয়ে দিন। এতে করে শনির বিরূপ প্রভাব কমানো যায়।
৩. শনির প্রকোপ কমাতে আরও কিছু সহজ প্রতিকার রয়েছে। যেমন আপনি একটি রুটিতে সরিষার তেল দিয়ে একটি কালো কুকুরকে খাওয়ান। শনিবার একটি কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ালে শনিদেব প্রসন্ন হন। এমন পরিস্থিতিতে শনিশ্চরি অমাবস্যায় এটি করলে বেশি উপকার পাবেন।
৪. শনির প্রভাব কমাতে আপনি প্রতি শনিবার শনি স্তোত্র পাঠ করতে পারেন। কিন্তু, শনিশ্চরি অমাবস্যার দিনে ১১ বার শনি স্তোত্র পাঠ করলে শনির দোষ দূর হয়।
৫. আপনি যদি শনির প্রভাব কমাতে নীল বা নীলা পরার কথা ভাবেন, তাহলে শনিশ্চরি অমাবস্যার দিনটি খুব শুভ। শনিশ্চরি অমাবস্যায় এই রত্ন পরিধান করা খুবই শুভ। এর ফলে শনির বিরূপ প্রভাব দ্রুত দূর হয় এবং জীবনে সুখ ও সুবিধার আগমন দ্রুত হয়।
Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।