Signs of Death: শিয়রে বাজছে মৃত্যুঘণ্টা! কয়েক মাস আগে থেকেই ঘটে এই লক্ষণগুলি
Spirituality: ধর্মও শাস্ত্র অনুসারে স্বর্গ ও নরক এই উভয় অবস্থান যে বিদ্যমান তার কোনও উল্লেখ নেই। জন্মের পর কী কী হয়, তা নিজের চোখে ও অভিজ্ঞতা থাকলেও, মৃত্যুর অপর পারে কী কী হয়, কোথায় যাত্রা ঘটে, তা প্রতিটি মানুষের একটি কৌতূহলের বিষয়। কিন্তু মৃত্যু যে আসন্ন, তা বুঝতে পারা কঠিন।

বর্তমানে টানা জ্বর-সর্দি হলেই মনে শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধেনি তো! শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই অনেকে ভাবে, হাতে আর বেশি দিন সময় নেই। গ্যাস-অম্বলে বুক ব্যথা উঠলেই মনে হয়, হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন। এমন ভুল চিন্তা মাঝেমাঝে মাথায় এত ঘুরপাক করে যে তাতেই শরীর খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু মৃত্যু যে শারীরিক কোনও সমস্যা হলেই মৃত্যু ঘটে , তা একেবারেই নয়। নানা কারণেই মৃত্যুঘণ্টা বাজে। জন্ম হলে মৃত্যু তো হবেই কোনও না কোনও একদিন। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, দেহের জন্ম ও মৃত্যুর চক্র চলতে থাকে। তবে আত্মা থাকে অমর।
মৃত্যুই চূড়ান্ত সত্য, কারণ যার জন্ম হয় তার মৃত্যু নিশ্চিত। মৃত্যুর পরও আত্মার যাত্রা অবিচল। হিন্দু ধর্ম মতে, জন্মের পর কর্মের ভিত্তিতেই স্বর্গ-নরক নির্ধারিত। ধর্মও শাস্ত্র অনুসারে স্বর্গ ও নরক এই উভয় অবস্থান যে বিদ্যমান তার কোনও উল্লেখ নেই। জন্মের পর কী কী হয়, তা নিজের চোখে ও অভিজ্ঞতা থাকলেও, মৃত্যুর অপর পারে কী কী হয়, কোথায় যাত্রা ঘটে, তা প্রতিটি মানুষের একটি কৌতূহলের বিষয়। কিন্তু মৃত্যু যে আসন্ন, তা বুঝতে পারা কঠিন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মৃত্যুর আগে শরীর ও মনে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেই লক্ষণগুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন, আপনি জীবনের শেষপ্রান্তে চলে এসেছেন।
মৃত্যুর আগের লক্ষণ
হিন্দু ধর্ম অনুসারে, স্বাভাবিক মৃত্যু বা অকালমৃত্যু, প্রক্রিয়াটি ছয় মাস আগে নির্ধারণ করা হয়। যদি কোনও ব্যক্তি এই লক্ষণগুলি সময়মতো বুঝে যান তাহলে তো খুব ভালো কাজ।ভগবানের অপার আশীর্বাদ থাকলে সেই মৃত্যু রোধও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মৃত্যুর আগে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যেগুলি বেশ অদ্ভূত ও অলৌকিকও বটে। এই লক্ষণগুলি কয়েক মাস আগে থেকে মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। মৃত্যুর সময় যত ঘনিয়ে আসে, সেই লক্ষণগুলির তীব্রতাও বাড়তে থাকে।
কথিত আছে, একজন ব্যক্তি তার মৃত্যুর কয়েক মাস আগে মৃত্যুর ঘণ্টা অনুভব করতে শুরু করে। পুরাণ অনুসারে, মৃত্যুর শব্দ প্রথমে নাভি চক্রে অনুভূত হয়। মৃত্যুর আগে নাভিচক্র ভাঙ্গতে শুরু করে। চক্রটি ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কাছাকাছি আসার আরও অনেক লক্ষণ অনুভূত হতে শুরু করে।
– মৃত্যুর আগে, একজন ব্যক্তির হাতের রেখাগুলি অস্পষ্ট ও খুব হালকা হয়ে যায়। অদৃশ্য হতে শুরু করে যে তাদের দেখতে পাওয়াটা বেশ কঠিন।
– মৃত্যুর কিছু সময় আগে, একজন ব্যক্তি তার চারপাশে যমদূত দেখতে শুরু করেন। যমরাজকে দেখার পর থেকেই রাতের ঘুম উবে যায়। আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকেও সে দেখতে পায় না।
– মৃত্যুর আগে আয়নায়, তেলে বা জলেতে মুখ দেখতে পান না। এমনকি শোনার ও দেখার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। চোখের সামনে ঘন কালো অন্ধকার দেখতে পান।
-মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকে ব্যক্তির ছায়াও তাকে ছেড়ে চলে যায়। তার মানে একজনের ছায়া থেকে শরীর আলাদা দেখতে শুরু করে। ছায়ার মাথাটিও দেখতে পাওয়া যায় না এই সময়।
– মৃত্যুর আগে শরীর থেকে অদ্ভুত গন্ধ বের হতে থাকে। এই গন্ধ মৃতদেহ থেকে আসা গন্ধের মতোই হয়ে থাকে। সাধারণত এমনটা ঘটে, যারা মারাত্মক রোগের শিকার হন। তার মানে তাদের শরীর ভেতর থেকে অনেকটাই মৃত।
