Shani Dev: শনির সাড়ে সাতি দশার সহজ টোটকা, সারা ঘরে ছড়িয়ে দিন গুগ্গুলের গন্ধ! তাতেই শান্ত হবেন বড়ঠাকুর
Astro remedies: সব গ্রহগুলির মধ্যে শনি হল সবচেয়ে ধীর গতিশীল গ্রহ। যে রাশিতে শনিদেব বসে থাকেন, সেই রাশিচক্রে শনির সাড়ে সাতি দশার প্রভাব পড়ে। তবে কখনও আগে ও পিছিয়ে পড়ে।
হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, নয়টি গ্রহের মধ্যে শনিদেবকে বিচারক বা ন্যায়ের দেবতা হিসেবে গণ্য করা হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ সব মানুষের কর্মের ফল দেয়। শনি সূর্যদেবের পুত্র ও মকর-কুম্ভ রাশির অধিপতি। যদি কেউ কঠোর পরিশ্রম করেন, নিয়মানুবর্তিতায় বাস করেন, ধর্ম অনুসরণ করেন ও সকলকে সম্মান করেন, তাহলে শনিদেব কখনও তাঁদের বিরক্ত করেন না। শনির দশা থেকে তাঁরা দূরেই থাকেন। সব গ্রহগুলির মধ্যে শনি হল সবচেয়ে ধীর গতিশীল গ্রহ। যে রাশিতে শনিদেব বসে থাকেন, সেই রাশিচক্রে শনির সাড়ে সাতি দশার প্রভাব পড়ে। তবে কখনও আগে ও পিছিয়ে পড়ে। শনির কৃদৃষ্টিতে যাঁরা পড়েন তাণদের জীবন একেবারে ছাড়খার হয়ে যায়। কারণ কোনও সমস্যা তো মেটেই না, বরং দিন দিন তা বেড়েই চলে। শনিদেবের দশার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানোও কঠিন হয়ে পড়ে। তবে শাস্ত্র অনুসারে, এই দশা থেকে মুক্তি পাওয়ারও বেশ কিছু প্রতিকার রয়েছে।
শনির সাড়ে সাতি দশার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচার সহজ টোটকা
শমীর কাঠের প্রতিকার: শাস্ত্রমতে শমীকে শনির প্রিয় গাছ মনে করা হয়। শনিবার সন্ধ্যের সময় শমী গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালালে শনি সংক্রান্ত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কুণ্ডলীতে শনি অশুভ হলে শমীর কাঠে তিল দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত। সাড়ে সাতি ও ধাইয়া প্রভাব কমাতে এই প্রতিকার খুবই উপকারী।
গুগ্গুলের প্রতিকার: শনির প্রকোপ এড়াতে গুগ্গুলের ধূপ হালকা করে শনিবার সারা ঘরে ছড়িয়ে দিন। গুগ্গুল হল এমন একটি পাথর যা শনিদেবের প্রিয়, যার ধূপ বা গন্ধের জেরে শনিদেবের কৃপা লাভ করা আরও সহজ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ঘরের মধ্য়ে থাকা নেতিবাচক শক্তিরও অবসান ঘটে। গুগ্গুলের মধ্যে বেশিরভাগ অংশ হল লোহা, আর লোহা শনিদেবের খুব প্রিয়। এই বিশেষ জিনিসটি জ্বালালে অদ্ভূত একটি মিষ্টি গন্ধ বের হয়। আর ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে গোটা ঘরে। এর ফলে ভগবান শনিদেব অত্যন্ত প্রসন্ন হন।
অশ্বত্থ গাছ: সন্তানসুখ ও শনির দশা থেকে বাঁচতে শনিবার অশ্বত্থ গাছের নিচে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো উচিত। শনি দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। শনিবার কালো তিল দান করুন। চামড়ার জুতা ও চপ্পল দান করাও শুভ বলে মনে করা হয়।
শনিবারের পুজোয় এই নিয়মগুলি অবশ্য মাথায় রাখবেন
শনিদেবকে পশ্চিম দিকের কর্তা বা প্রধান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই তাঁর পুজো করার সময় বা শনি মন্ত্র জপ করার সময় ভক্তের মুখ শুধুমাত্র পশ্চিম দিকে থাকা উচিত।
শনিদেবের পুজোয় তামার পাত্র ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ তামা হল সূর্যদেবের ধাতু। শনি ও সূর্য একে অপরের শত্রু। তাই শনির পুজোয় শুধুমাত্র লোহার পাত্র ব্যবহার করা উচিত। লোহা বা মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে, একটি লোহার পাত্রে ভরে শনিকে তেল অর্পণ করুন।