Vastu Tips: বছরভর টাকা থাকবে হাতে, সৌভাগ্য ফেরাতে ঘরে রাখুন বাস্তু মতে এই ৫ জিনিস
লক্ষ্মী দেবী অল্পতেই সন্তুষ্ট হন। কিন্তু দেবী যদি রুষ্ট হন, তা হলে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সকলেই চান, মা লক্ষ্মী যেন সব সময় তাঁদের বাড়িতে বিরাজ করেন। এবং তাঁর আশীর্বাদ বজায় থাকে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এমন কিছু জিনিস আছে যা বাড়িতে রাখলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

হিন্দু ধর্মে দেবী লক্ষ্মীকে ধন এবং ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে পুজো করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, তাঁর কৃপা থাকলে বাড়িতে কখনও অর্থের অভাব হয় না। লক্ষ্মী দেবী অল্পতেই সন্তুষ্ট হন। কিন্তু দেবী যদি রুষ্ট হন, তা হলে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সকলেই চান, মা লক্ষ্মী যেন সব সময় তাঁদের বাড়িতে বিরাজ করেন। এবং তাঁর আশীর্বাদ বজায় থাকে। বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুসারে, এমন কিছু জিনিস আছে যা বাড়িতে রাখলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এবং ধন-সম্পদের ভাণ্ডার সব সময় পূর্ণ থাকে। নিম্নে তেমন ৫ জিনিসের কথা তুলে ধরা হল।
১. কুবের দেবের মূর্তি
কুবের দেবকে ধন-সম্পদের দেবতা মনে করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঘরে কুবের দেবের মূর্তি রাখলে কখনও টাকার অভাব হয় না। এর ফলে পরিবারে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে এবং দেবী লক্ষ্মীর বাসও নিশ্চিত হয়।
২. শ্রীফল বা ডাব
নারকেল/ডাবকে অত্যন্ত পবিত্র এবং শুভ বলে মনে করা হয়। একে ‘শ্রীফল’ বলা হয়, যা দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক। বাড়িতে লক্ষ্মী ঠাকুরের প্রতিমা বা মূর্তির পাশে শ্রীফল রাখলে ধন আগমনের পথ খুলে যায়। আপনার সিন্দুক বা টাকা রাখার জায়গা কখনও খালি থাকবে না।
৩. রূপোর বাঁশি
রূপোকে শুভ ধাতু মনে করা হয় এবং বাঁশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। বাস্তুশাস্ত্র মতে, যে বাড়িতে রূপোর বাঁশি থাকে, সেখানে কোনও ধরনের নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। বাঁশি রাখলে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণেরও বাস হয়। এর ফলে ধন এবং ঐশ্বর্যের অভাব দূর হয়।
৪. শঙ্খ
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শঙ্খকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। শঙ্খ বাড়িতে রাখা অত্যন্ত শুভ। এটি রাখলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সব সময় বজায় থাকে এবং পরিবারে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি বাড়ে।
৫. লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি
মা লক্ষ্মী এবং ভগবান গণেশের মূর্তি একসঙ্গে রাখা খুবই মঙ্গলজনক। এই দুই দেব-দেবীর মূর্তি একসঙ্গে রাখলে জ্ঞান (গণেশ) এবং ধন (লক্ষ্মী) দুটোই লাভ হয়। এর ফলে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য আসে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা বাস্তুশাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।
