Mahashivratri: ফুল নয়, এই পাতাতেই তুষ্ট হোন মহাদেব, এর মাহাত্ম্য কী?
Belpatra on Shivratri: ভোলেনাথকে বিভিন্ন উপায়ে পূজা করা হয়। কিন্তু যে ভক্ত ভগবান ভোলেনাথকে পূজা করার সময় বেলপত্র নিবেদন করেন, তিনি অনেক উপকার ও আশীর্বাদ পান।
সারা বছর শিবরাত্রির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন শিবের ভক্তরা। এ দিন ভগবান শিব ও পার্বতীর বিবাহ উৎসব হিসেবেও পালিত হয়। ভোলেনাথের এই মহা উৎসব বেশ আড়ম্বরে পালন করা হয়। শিবরাত্রির দিনে শিবকে সন্তুষ্ট করার জন্য শিবের ভক্তরা নানা আচার মেনে চলেন। উপবাস, পুজো, শিবের মাথায় দুধ ও জল ঢালেন তাঁরা।কিন্তু ভোলেনাথকে দ্রুত সন্তুষ্ট করতে কোনও দামি কিছু নয়, একমাত্র বেলপাতা নিবেদন করলেই শিবের আশীর্বাদ মেলে। বেলপাতা শিবের ভীষণ প্রিয়। শিবলিঙ্গে বেলপাতা নিবেদন করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদনের উপকারিতা
ভোলেনাথকে বিভিন্ন উপায়ে পূজা করা হয়। কিন্তু যে ভক্ত ভগবান ভোলেনাথকে পূজা করার সময় বেলপত্র নিবেদন করেন, তিনি অনেক উপকার ও আশীর্বাদ পান।
বেলপাতা ভোলেনাথের প্রিয়
দেবী পার্বতী ভোলেনাথকে পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন, তপস্যার পাশাপাশি তিনি অনেক উপবাসও পালন করেছিলেন। একদিন ভোলেনাথ যখন বেল গাছের নিচে তপস্যা করছিলেন তখন পার্বতী পূজার সামগ্রী আনতে ভুলে গিয়ে বেলপাতার পাতা দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে দিয়ে তাঁকে পুজো করেছিলেন। এতে ভোলেনাথ সন্তুষ্ট হন ও তখন থেকেই তাকে বেলপাত্র নিবেদন করার রীতি হয়ে গিয়েছে।
– মহাশিবরাত্রিতে যে সমস্ত ভক্তরা ভগবান শিবকে বেলপাতা নিবেদন করেন, তাদের অর্থ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়।
– এই বিশেষ দিনে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে শিবকে বেলপত্র অর্পণ করলে বিবাহিত জীবন সুখের হয় ও সন্তানের সুখও পান।
শিবরাত্রির দিন ভোলেনাথকে অভিষেক করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন কী কী জিনিস দিয়ে শিবকে অভিষেক করা উচিত…
– মহাশিবরাত্রি উৎসবের দিন ভগবান শিবের পুজোর সময় মধু দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করা শুভ। এতে ভক্তের কর্মজীবনে আসা সমস্ত সমস্যা দূর হয়, ভগবান শিবের আশীর্বাদ সদা বজায় থাকে।
– শিবরাত্রির দিন দই দিয়ে শিবের রুদ্রাভিষেক করলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আসা সমস্ত সমস্যাও দূর হয়।
– আখের রস দিয়ে শিবকে অভিষেক করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
– শিবকে পবিত্র করার সময় ‘ওম পার্বতীপতয়ে নমঃ’ মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করতে হবে। এতে জীবনে কখনও কোনও সমস্যা আসে না।