বিশ্বকাপ নায়কদের হাল-হকিকত

২০১১ বিশ্বকাপের (2011 World Cup) নায়কেরা এখন কে কোথায়? কেউ ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, কেউ জাতীয় দল থেকে। আবার কেউ এখন ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) প্রধান ভরসা। চলুন দেখে নেওয়া যাক ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী সদস্যদের হাল-হকিকত।

বিশ্বকাপ নায়কদের হাল-হকিকত
২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 02, 2021 | 3:02 PM

কলকাতা: ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু হয় তখন থেকেই। ২০১১ বিশ্বকাপ (2011 World Cup) যেন টিম ইন্ডিয়ার স্বপ্নের উত্থান। তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশ্রণে সাজানো হয়েছিল সেই ভারতীয় দলকে। কোচ গ্যারি কার্স্টেন এক সুতোয় বেঁধেছিলেন সচিন থেকে বিরাট কোহলিকে। ২০১১ বিশ্বকাপের (2011 World Cup) নায়কেরা এখন কে কোথায়? কেউ ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, কেউ জাতীয় দল থেকে। আবার কেউ এখন ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) প্রধান ভরসা। চলুন দেখে নেওয়া যাক ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী সদস্যদের হাল-হকিকত।

আরও পড়ুন: ফেডেরারকে অভিনব সম্মান সুইৎজারল্যান্ডের

সচিন তেন্ডুলকর- ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এর পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটিতে ছিলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইকন। প্রাক্তনীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এখনও ব্যাট হাতে ২২ গজে নামেন। সম্প্রতি রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলেছেন।

মহেন্দ্র সিং ধোনি- ২০১৯ বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে শেষ বার খেলেছিলেন। গত বছর স্বাধীনতা দিবসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক।

যুবরাজ সিং- ২০১১ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার। যুবির অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ভারতকে কাপ জিততে সাহায্য করেছিল। তারপরই ক্যানসারে আক্রান্ত হন যুবরাজ। জীবনযুদ্ধের কঠিন লড়াই শেষ করে ফের ২২ গজে ফিরে আসেন তিনি। ২০১৯ সালের ১০ জুন পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন যুবরাজ। চ্যারিটি ম্যাচগুলোয় অবশ্য এখন খেলা চালিয়ে যান।

বীরেন্দ্র সেওয়াগ- ২০১৫ সালে সআন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। চ্যারিটি ম্যাচে এখনও খেলেন। কয়েকদিন আগেই রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলেছেন। এখন নাডার (NADA) মাদক বিরোধী প্যানেলের সদস্য।

বিরাট কোহলি- কেরিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন। বর্তমানে ভারতীয় দলের অধিনায়ক।

আরও পড়ুন: এক দশক পার, বিশ্বজয়ের স্মৃতিতে ডুব

হরভজন সিং- আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও এখনও অবসর ঘোষণা করেননি। আইপিএলে খেলা চালিয়ে যান। এ বার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন হরভজন।

গৌতম গম্ভীর- বর্তমানে বিজেপির সাংসদ। গত লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব দিল্লি থেকে জেতেন। ২০১৮ সালে সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।

সুরেশ রায়না- গত বছর স্বাধীনতা দিবসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন।

জাহির খান- ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেট অপারেশনসের ডিরেক্টর। চ্যারিটি ম্যাচে এখনও খেলেন। কয়েকদিন আগে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলেছেন।

মুনাফ প্যাটেল- ২০১১ সালে জাতীয় দলের হয়ে শেষ বার খেলেছেন। একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগে এখনও খেলেন।

এস শ্রীসন্থ- বিশ্বকাপ ফাইনালই ভারতের জার্সিতে শেষ একদিনের ম্যাচ। ২০১৩ আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হন। নির্বাসন কাটিয়ে এ বছরই ফিরে এসেছেন। কেরলের হয়ে বোর্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলেছেন।

রবিচন্দ্রন অশ্বিন- বর্তমানে ভারতীয় দলের সদস্য। ২০১৭ সালে দেশের জার্সিতে শেষ বার ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের সদস্য।

পীযুষ চাওলা- ২০১১ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শেষ একদিনের ম্যাচ খেলেন। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে শেষ টেস্ট খেলেছেন। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সদস্য।

ইউসুফ পাঠান- এ বছর ফেব্রুয়ারিতেই সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। চ্যারিটি ম্যাচে এখনও খেলেন। কয়েকদিন আগে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলেছেন।

আশিস নেহরা- ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এরপর আরসিবির বোলিং কোচ হয়েছিলেন।