Neeraj Chopra: কেরিয়ারে সাফল্যই সাফল্য… নীরজ চোপড়া তবুও মেজাজ হারান! কারণ খোলসা করলেন

Paris Olympics 2024: প্যারিসের জন্যও প্রস্তুত। সোনার পদক ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্যও রয়েছে। কেরিয়ারে তিনি কখনও ৯০ মিটারের সীমা পার করতে পারেননি। দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে আপশোস নীরজের। প্যারিস অলিম্পিকের আগে কী বলছেন ভারতের এই সফল অ্যাথলিট?

Neeraj Chopra: কেরিয়ারে সাফল্যই সাফল্য... নীরজ চোপড়া তবুও মেজাজ হারান! কারণ খোলসা করলেন
Image Credit source: X

Jul 22, 2024 | 7:47 PM

দরজায় কড়া নাড়ছে প্যারিস অলিম্পিক। ভারতের পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। বরং বলা ভালো, নীরজ চোপড়ার থেকে আরও একবার সোনার পদকের প্রত্যাশা। অলিম্পিকের মঞ্চে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে সোনা জয়ের নজির গড়েছিলেন নীরজই। ব্যক্তিগত ইভেন্টে দ্বিতীয় সোনা। শুধু অলিম্পিকই নয়, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতের নানা প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। অ্যাথলেটিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সেরার পুরস্কার, ডায়মন্ড লিগ। এ ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পদকের পর পদক। সাফল্যে ঘেরা যাঁর কেরিয়ার, দেখতে যাঁকে এতটাই শান্ত। কথা বলেন বিনয়ের সঙ্গে। সেই নীরজ চোপড়াও মেজাজ হারান! বিশ্বাস না হওয়ার মতোই যেন বিষয়। নীরজ কিন্তু জানিয়েছেন, তিনি মেজাজ হারান। তার কারণও ব্যাখ্যা করেন।

অলিম্পিকের ইতিহাসে ভারতের বড় আক্ষেপ ছিল ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে কোনও সোনার পদক জিততে না পারা। টোকিও অলিম্পিকে সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছেন নীরজ চোপড়া। জ্যাভলিনে সোনা জিতেছেন। প্যারিসের জন্যও প্রস্তুত। সোনার পদক ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্যও রয়েছে। কেরিয়ারে তিনি কখনও ৯০ মিটারের সীমা পার করতে পারেননি। দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে আপশোস নীরজের। প্যারিস অলিম্পিকের আগে কী বলছেন ভারতের এই সফল অ্যাথলিট?

স্পোর্টসস্টারকে এক সাক্ষাৎকারে নীরজ বলেছেন, ‘একমাত্র নিজের সঙ্গে কথা বলেই শান্তি পাওয়া যায়। নিজেকে যদি বলি, লাস্ট থ্রো-টা ভালো ছিল, উত্তরে নিজেকে আরও বলা যায়, পরের থ্রো ভালো করা যেতে পারে। আমি সবসময় নিজের সঙ্গে এ ভাবেই কথা বলি। সকলেই হয়তো ভাবে, প্রতিটা টুর্নামেন্টেই প্রথম থ্রো-টা করি জেতার লক্ষ্যেই। বিষয়টা তেমন নয়। আমি চেষ্টা করি মাত্র।’

থ্রো ভালো না হলে? অর্থাৎ নিজের পছন্দমতো থ্রো করতে না পারলে! সে প্রসঙ্গেই নীরজ বলছেন, ‘নিজেকে কোনও অভিশাপ হয়তো দিই না, তবে মেজাজ হারাই। নিজেই নিজেকে বলি-এই টুকু করতে পারছিস না? এরপরই নিজেকে বোঝাই, আমাকে পারতেই হবে। টেকনিক, থ্রো, ফিটনেসে কী ভাবে আরও ভালো হওয়া যায়, সেটাই চেষ্টা করি।’