
এফসি বার্সেলোনা ৩-২ রিয়াল মাদ্রিদ
(পেড্রি -২৮, ফেরান তোরেস – ৮৪, জুলে কুন্দে -১১৬) : (এমবাপে-৭০, শৌমেনি -৭৭)
কলকাতা: কোপা দেল রে (Copa Del Rey) চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের ৩২ তম কোপা দেল রে ট্রফি ঘরে তুলল বার্সা। কোপার ফাইনালে দেখা গেল একাধিক দৃষ্টিনন্দন গোল। সঙ্গে তিনটি লাল কার্ড। ম্যাচের প্রথম থেকেই দুই দল গোল তুলে নেওয়ার জন্য একে অপরের দুর্গে আক্রমণ করা শুরু করে।
প্রথমেই মাদ্রিদ সাইড ব্যাক মেন্ডি ম্যাচের ১১ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় বার্সার লামিন ইয়ামালের একটি দূরপাল্লার শট গোলপোস্টের একদম গা ঘেষে চলে যায়। প্রথম থেকেই ম্যাচে একাধিক সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা। ম্যাচের ২৮ মিনিটের মাথায় বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোল পেদ্রির। ইয়ামালের বাড়ানো পাস থেকে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দূরপাল্লার শটে গোল করেন তিনি। ৩১ মিনিটের মাথায় বাজে ফাউল করার জন্য কার্ড দেখেন রিয়ালের চুমেনি। এরপর দুই দলের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছিল ম্যাচে। ৩৭ মিনিটে বার্সার জেরার্ড হলুদ কার্ড দেখেন। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্রাজিলের উইংগার রড্রিগোর পরিবর্তে মাঠে আসেন কিলিয়ান এমবাপে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫৫ মিনিটের মাথায় দুটি পরিবর্তন করেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আন্সেলোত্তি। মাঠে আসেন গুলার এবং লুকা মদ্রিচ। এরপরে রিয়াল মাদ্রিদ একাধিক সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করে গোল তুলে নেওয়ার জন্য। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে দানি ওলমোর পরিবর্তে মাঠে আসেন লোপেজ। একাধিক সুযোগ তৈরি করার পর অবশেষে ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। পরিবর্ত হিসেবে কিলিয়ান এমবাপে ফ্রি কিক থেকে একটি দুর্দান্ত গোল করেন।
এরপর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে খেলা এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেন এমবাপে , ভিনিসিয়াসরা। ৭৭ মিনিটে গুলারের অ্যাসিস থেকে গোল করে শৌমেনি মাদ্রিদকে ২-১ এগিয়ে দেয় ম্যাচে। বার্সেলোনা কিছুটা চাপে পড়ে যায় সেই গোলের পর। ৮৪ মিনিটের মাথায় আবারও সেই লামিনের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন ফেরেন তোরেস। সেই সময় স্কোরলাইন ছিল ২-২। ৯০ মিনিট অবধি ম্যাচ এই ফলাফলেই শেষ হয়।
এর পর ম্যাচ যায় এক্সট্রা টাইমে। ১১৬ মিনিটের মাথায় বার্সেলোনার হয়ে গোল করেন জুলে কুন্দে। ওই মুহূর্তে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ম্যাচের একদম শেষের দিকে মাথা গরম করে ফেলায় মাদ্রিদের তিন ফুটবলার, রুডিগার, লুকাস ভাসকুেজ ও বেলিংহাম লাল কার্ড দেখেন। ম্যাচ শেষ হয় ৩-২ ফলাফলে। উত্তেজক ফাইনালে শেষ হাসি ফোটে বার্সা শিবিরে।