
কলকাতা: প্রথমবার কলকাতায় পা রাখছেন লিওনেল মেসি। টানটান উত্তেজনা শহর জুড়ে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে কলকাতায় পৌঁছনোর পর শনিবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মেসি। তাঁর এই কয়েক ঘণ্টার কলকাতা সফরে, বাংলার কোনও ‘ফ্লেভার’ যেন বাদ না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখছেন উদ্যোক্তারা। বাঙালিয়ানার ছোঁয়া দিতে সব ব্যবস্থাই রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া উদ্যোগপতি শতদ্রু দত্ত।
বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক। তাই মেসিকে বাঙালি খাবার খাওয়ানো হবে না, তা কী করে হয়! পাঁচতারা হোটেলেই রাখা হচ্ছে সেই বন্দোবস্ত। শতদ্রু দত্ত জানিয়েছেন, বাঙালি খাবার দিয়ে একটা টেবিল সাজানো হবে। থাকবে চিংড়ি, থাকবে ইলিশ।
শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরেই পরোটা বিক্রি করেন ‘ভাইরাল’। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যায় ‘একটা প্লেটে তিনটে পরোট, আনলিমিটেড তরকারি’র সেই দোকান। সেই বিক্রেতার সঙ্গে মেসিকে দেখা করানোর কথা আগেই বলেছিলেন শতদ্রু দত্ত। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, পকেট পরোটার ওই বিক্রেতাকে তিনি আনবেন স্টেডিয়ামে। এছাড়া আনা হবে ইছাপুরের শিবশঙ্কর পাত্রকেও। চা বিক্রেতা শিবশঙ্কর মেসির বড় ভক্ত, নাতির নাম রেখেছেন লিও। তাঁর সঙ্গে মেসির সাক্ষাৎ হবে।
জানা গিয়েছে, মঞ্চে ওইদিন একাধিক অনুষ্ঠান থাকবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে আর্জেন্টিনার যোগও উঠে আসবে ওইদিনের অনুষ্ঠানে। ১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ আর্জেন্টিনা সফর করেছিলেন এবং তাঁর এই সফর শিক্ষাবিদ ও ছাত্রছাত্রীদের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল। সেই কারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যোগ থাকবে ওই অনুষ্ঠানে।
এছাড়া পোশাকেও বাঙালিয়ানার ছোঁয়া আনার কথা ভাবা হয়েছে। মেসি কলকাতায় আসছেন, তাই তাঁর জন্য ধুতি-পঞ্জাবীর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সেই পোশাক পরানোর চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন শতদ্রু।