
এ বারের এশিয়া কাপে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি অভিষেক শর্মা। প্রথম বার জাতীয় দলে খেলছেন তা নয়। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই সেঞ্চুরি মেরেছিলেন অভিষেক শর্মা। সেটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জিম্বাবোয়ে সফর। তরুণ দল পাঠানো হয়েছিল। তবে সেই সফরের পর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। অভিষেক শর্মা তরুণ হলেও বিশ্ব ক্রিকেটে হট টপিক হয়ে উঠেছেন। তিনি ক্রিজে থাকা মানে শুধু চার-ছয় কিংবা রান নয়, সঙ্গে ভরপুর বিনোদন। ফাইনালের মঞ্চেও এমন বিনোদনের অপেক্ষা। ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মরকেল অবশ্য অপেক্ষায় রয়েছেন দ্বৈরথের।
একটা সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বোলিং পরামর্শদাতা ছিলেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার মর্নি মরকেল। খুব বেশিদিনের জন্য নয়। তবে শাহিনশাহ আফ্রিদির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই শাহিনের অবস্থা দেখেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে। বরং বলা ভালো অভিষেক শর্মার বিরুদ্ধে শাহিনের পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো। একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট অভিষেকের। বল গ্যালারিতে। ভারতীয় শিবিরের জন্য উচ্ছ্বাসের মুহূর্ত। পাকিস্তানের জন্য হতাশার। গ্রুপ পর্ব এবং সুপার ফোর, শাহিনের বিরুদ্ধে দাপট বজায় ছিল অভিষেকের। মর্নি মরকেল ফাইনালেও এই দ্বৈরথের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
ভারতের বোলিং কোচ মরকেল বলছেন, ‘শাহিন আক্রমণাত্মক বোলার। শুরু থেকেই উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করবে। অভিষেকও পিছিয়ে যাওয়ার ছেলে নয়। আমার এখনও অবধি যা মনে হয়েছে, এই দু-জন যখনই মুখোমুখি হবে ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে আমরা সিট ছেড়ে উঠতে পারব না। এটাই ক্রিকেটের মজা।’ বয়সের দিক থেকে দু-জনেই সমান। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তুলনামূলক বেশিদিন কাটিয়েছেন শাহিন। অন্য দিকে, অল্প সময়ের মধ্যেই ছাপ ফেলেছেন। ফাইনালের মঞ্চে আরও একবার শাহিন বনাম অভিষেক দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন মরকেল।