‘ক্রিকেট কিট কিনতেও…’ IPL নিলামে কোটিপতি হয়েই মা-বাবার জন্য উপহার বেছে রেখেছেন শুভম
IPL 2024, Rajasthan Royals Shubham Dubey: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মিনি অকশনে শুভম দুবেকে ৫.৬০ কোটি টাকায় নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। হঠাৎ কোটিপতি হয়েও শিকড় ভুলছেন না শুভম। বাবা-মায়ের পরিশ্রমে তিনি এই অবধি পৌঁছতে পেরেছেন। তাঁর ক্রিকেটের খরচ চালাতে কতটা ঘাম ঝড়াতে হয়েছে বাবাকে, ভোলেননি শুভম। সুযোগ এসেছে পরিবারের জন্য কিছু করার। দায়িত্ব ভুলছেন না রাজস্থান রয়্যালসের নতুন সেনসেশন। মা-বাবার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করে রেখেছেন শুভম।

কলকাতা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে নতুন প্লেয়ার উঠে আসার ঘটনা অনেক রয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরে ছাপ ফেলার আগেই আইপিএলে টিম পেয়েছেন অনেকেই। কেউ হয়তো বেস প্রাইস থেকে কয়েক মিনিটে কোটিপতি হয়েছেন। এ বারের মিনি অকশনেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। ভারতের বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি দর পেয়েছেন। সমীর রিজভি, রবিন মিঞ্জের মতো শুভম দুবেও একজন। অনামী শুভম আইপিএল অকশেন কোটিপতি হয়েছেন। তাঁকে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। মাঠে নেমে ভালো পারফর্ম করা অবশ্যই লক্ষ্য। তার পাশাপাশি আরও একটা ইচ্ছে রয়েছে। সেটা আবেগের জায়গা থেকে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মিনি অকশনে শুভম দুবেকে ৫.৬০ কোটি টাকায় নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। হঠাৎ কোটিপতি হয়েও শিকড় ভুলছেন না শুভম। বাবা-মায়ের পরিশ্রমে তিনি এই অবধি পৌঁছতে পেরেছেন। তাঁর ক্রিকেটের খরচ চালাতে কতটা ঘাম ঝড়াতে হয়েছে বাবাকে, ভোলেননি শুভম। সুযোগ এসেছে পরিবারের জন্য কিছু করার। দায়িত্ব ভুলছেন না রাজস্থান রয়্যালসের নতুন সেনসেশন। মা-বাবার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করে রেখেছেন শুভম।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে শুভম বলেন, ‘আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো ছিল না। অনেক কষ্ট সয়েও বাবা আমাকে ক্রিকেটার বানিয়েছে। আমার পছন্দ ক্রিকেট। সংসারে নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কোনও দিন অন্য কাজ করতে জোর করেনি। বাবার মতো মানুষ দেখিনি। আমার ক্রিকেটের খরচ চালানোর জন্য কোনও কাজ থেকে পিছপা হননি। পান দোকান চালানো থেকে, হোটেলে চাকরি, সবই করেছেন। এখনও একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।’
পরিবারের জন্য তাঁর কী পরিকল্পনা? শুভম বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় সমর্থন পরিবার। আমার যমজ ভাই চাকরি করেছে। যাতে আমার ওপর কোনও আর্থিক চাপ না আসে। একবার বড় রকমের চোট ছিল। পরিবারের সকলেই আমাকে ভরসা দিয়েছে। ওদের জন্য যা প্রয়োজন করব। সবার আগে একটা বাড়ি বানাতে চাই।’
আইপিএলে দল পাওয়া নিঃসন্দেহে তাঁর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। তার আগেও একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। বিদর্ভর অধিনায়ক ফৈয়াজ ফয়জলের সঙ্গে দেখা হওয়াটাকেই সেই টার্নিং পয়েন্ট মনে করেন শুভম। তাঁর কাছ থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, সর্বভারতীয় স্তরে খেলতে কী কী প্রয়োজন।





