দুবাই: আইপিএলে (IPL) বিরাটের দলের ভরসা হয়ে উঠছেন কেএস ভরত (KS Bharat)। তিন নম্বর জায়গায় ধীরে ধীরে নিজের জায়গা পাকা করছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ম্যাক্সওয়েল, ডিভিলিয়ার্সদের মতো হেভিওয়েটরা দলে থাকলেও সবাইকে ছাপিয়ে তিন নম্বরে বিরাটের দলের ভরসার মুখ হয়ে উঠেছেন বিশাখাপত্তনমের এই ক্রিকেটার। একই সঙ্গে উইকেটকিপিং করে ডিভিলিয়ার্সের চাপও অনেকটা কমিয়ে দিচ্ছেন।
বিরাটের আরসিবি (RCB) যেন উঠতি ক্রিকেটারদের আঁতুর ঘর। গত বছর বিরাটের দল থেকেই উত্থান হয় দেবদত্ত পাড়িক্কলের (Devdutt Padikkal)। এ বছর হর্ষল প্যাটেলের (Harshal Patel)। কয়েক বছর আগে যুজবেন্দ্র চাহালের উত্থানও আরসিবি থেকে। এ বার কেএস ভরতও ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩২ রানের পর রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে করলেন ৪৪। ভারতীয় দলের রিজার্ভ উইকেটরক্ষক হিসেবে বেশ কয়েকটা সফর করলেও কখনও এগারো জনের দলে খেলার সুযোগ পাননি।
কেএস ভরত ম্যাচের পর বলেন, ‘তিন নম্বর পজিশন ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ জায়গা। প্রস্তুত না থাকলে অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে। আরসিবির আমরা প্রত্যেকেই এতটাই ফোকাস যে প্রথম বল থেকে রান তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ওই পজিশনে ব্যাটিং করার একটা গুরুদায়িত্ব আছে। পার্টনারশিপের মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্কোরবোর্ডে রানও তুলতে হয়। ওই পজিশনে ব্যাটিং করে ওভারে ৮ থেকে ৯ রান করাই প্রধান লক্ষ্য। এরপর ম্য়াক্সওয়েল, ডিভিলিয়ার্সের মতো বিগ হিটাররা আছে যারা এসে সেই স্কোরটাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। হাতে যদি উইকেট থাকে, তাহলে শেষ ওভার পর্যন্ত অল আউট ঝাঁপানো যায়। আমার কাজই হল, পার্টনারশিপের মাধ্যমে ইনিংসটাকে তৈরি করা। দলের ভিত তৈরি করে দেওয়াই প্রধান কাজ।’
ভরত এর সঙ্গে যোগ করেন, ‘বিরাট, ম্যাক্সওয়েল, ডিভিলিয়ার্সদের সঙ্গে খেলার সুবিধেই হল ওদের থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। মাঠে এবং মাঠের বাইরে কি ভাবে নিজেকে কন্ট্রোল করবে সেটাও ওদের থেকে জানা যায়।’
১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে আরসিবি। প্লে অফে ওঠা প্রায় নিশ্চিত। তবু প্রথম দুইয়ে ওঠাই লক্ষ্য বিরাটদের। রবিবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নামবে আরসিবি।
আরও পড়ুন: বিরাটের বিরুদ্ধে কোনও সতীর্থ অভিযোগ করেননি, বলছে বোর্ড