AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিরাটের বিরুদ্ধে কোনও সতীর্থ অভিযোগ করেননি, বলছে বোর্ড

১৬ সেপ্টেম্বর বিরাট এক বিবৃতিতে বলেছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার কথা। তার আগে থেকেই এ নিয়ে গুঞ্জন ছিল। নানা খবর উড়ছিল ভারতীয় ক্রিকেট ঘিরে। তাই বাস্তব হয়ে উঠেছিল বিরাটের সিদ্ধান্তে। ওই সময় থেকেই বলা হয়, আসলে চাপের সামনে নতিস্বীকার করেছেন বিরাট।

বিরাটের বিরুদ্ধে কোনও সতীর্থ অভিযোগ করেননি, বলছে বোর্ড
বিরাটের বিরুদ্ধে কোনও সতীর্থ অভিযোগ করেননি, বলছে বোর্ড (ছবি-টুইটার)
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2021 | 3:48 PM
Share

মুম্বই: বিরাট কোহলি (Virat Kohli) কেন টি-টেয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) পর অধিনায়কত্ব ছাড়তে চলেছেন দেশের? অনেকেই বলছেন, টিমের অভ্যন্তরে বিরাটকে নিয়ে নাকি অনেক চাপানউতোড় রয়েছে। কেউ কেউ তাঁকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। জুনিয়রদের ক্ষেত্রে বিরাট নাকি খুব একটা গ্রহণযোগ্য নন। কেউ কেউ নাকি বোর্ড কর্তাদের তাঁর আচরণ নিয়ে অভিযোগও তুলেছেন।

কতটা সত্যি এ সব অভিযোগ? বোর্ডের (BCCI) কোষাধক্ষ্য অরুণ ধুমাল (Arun Dhumal) কিন্তু সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন। স্পষ্ট বলছেন, বিরাটের নামে কেউ মৌখিক কিংবা লিখিত ভাবে কোনও অভিযোগ কখনওই জানাননি। একেবারেই গুজব এ সব। ধুমালের কথায়, ‘মিডিয়ার এ সব ফালতু বিষয় নিয়ে লেখা বন্ধ করা উচিত। বিরাটের বিরুদ্ধে ভারতীয় টিমের কেউ মৌখিক কিংবা লিখিত ভাবে কোনও অভিযোগ কখনও করেনি। আর সেই কারণেই এ সব গুজব নিয়ে বিসিসিআই-ও কথা বলতে চায় না। অনেকে আবার লিখছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য যে ভারতীয় টিম বাছা হয়েছে, তাতে নাকি বদল হতে পারে? কে বলেছে এ সব কথা?’

১৬ সেপ্টেম্বর বিরাট এক বিবৃতিতে বলেছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার কথা। তার আগে থেকেই এ নিয়ে গুঞ্জন ছিল। নানা খবর উড়ছিল ভারতীয় ক্রিকেট ঘিরে। তাই বাস্তব হয়ে উঠেছিল বিরাটের সিদ্ধান্তে। ওই সময় থেকেই বলা হয়, আসলে চাপের সামনে নতিস্বীকার করেছেন বিরাট। তাই ক্যাপ্টেন হিসেবে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি আপাতত ছেড়েছেন। ওয়ান ডে এবং টেস্ট থেকেও নাকি সরিয়ে নেবেন নিজেকে। ব্যাটিংয়েই মনোনিবেশ করতে চান। ঠিক একই কারণে একটা সময় সচিন তেন্ডুলকরও নিজেকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু সচিনকে বাদ দিয়ে কখনও ভারতীয় টিম কল্পনা করা যায়নি। বিরাটও ওই সচিন-পথ বেছে নিতে চাইছেন। বোর্ড অবশ্য তখন এক সরকারি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল, ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই বিরাটের। তার পরই বলা হতে থাকে, সতীর্থ ক্রিকেটারদের আস্থা হারিয়েছেন তিনি।

ধুমাল বলেছেন, ‘এই রকম বাজে খবর ভারতীয় ক্রিকেটের প্রচুর ক্ষতি করছে। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেট ফলো করছেন। তাঁরা পরামর্শ দেওয়ার জন্য কিছু লিখতেই পারেন। কী করা উচিত বোর্ডের, কী নয়, তাঁদের এমন পরামর্শ বোর্ডের কাজে লাগে। কিন্তু কেউ যদি কোনও ভিত্তিহীন খবর করেন, তা দায় নেওয়া মুশকিল।’