কলকাতা: মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) ক্যাপ্টেন কুল বলে জনপ্রিয়। তাঁকে মেজাজ হারাতে খুব কমই দেখা যায়। ২২ গজে মাঝে মাঝে অবশ্য ধোনিও মেজাজ হারিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটকে ধোনি অনেক কিছু দিয়েছেন। সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের টিমকে ধোনি যেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন। তেমনই তাঁর অধীনে খেলেছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারাও। ভারতের অন্যতম সফল ক্যাপ্টেন ধোনি। সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভালো। জুনিয়রদের কাছেও ধোনি বড় দাদার মতো। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথার ধোনি একবার বিরাট রেগে গিয়েছিলেন শ্রীসন্থের উপর। সেই গল্প এ বার শোনালেন ভারতীয় তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)।
১৮৪ পাতার একটি বই লিখেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যে বইয়ের নাম ‘I Have The Streets- A Kutty Cricket Story’। সেখানে অ্যাশ জানিয়েছেন, ধোনির রাগের এক অজানা গল্প। যা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ২০১০ সালে। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল ভারতীয় টিম। এক ম্যাচে ডাগআউটে বসেননি শ্রীসন্থ। তাঁর এই আচরণ ধোনিকে বিরাট রাগিয়ে দিয়েছিল।
অশ্বিন তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘আমি ধোনিকে বলেছিলাম ও (শ্রীসন্থ) ড্রেসিংরুমের উপরে আছে। ও আমাকে বলেছিল, শ্রীকে যেন আমি জানিয়ে দিই সে যেন নীচে নেমে এসে বাকি রিজার্ভ প্লেয়ারদের সঙ্গে বসে।’ রবি অশ্বিন সেই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না। জল বইছিলেন। ধোনিকে মাঠে জল দিতে গিয়েই তিনি দেখেন শ্রীসন্থের উপর এতটা রেগে গিয়েছেন মাহি। ধোনির বার্তা শ্রীসন্থকে দিয়ে এসেছিলেন অশ্বিন। কিন্তু শ্রীসন্থ তা মানেননি। এরপর অশ্বিন যখন ফের ধোনিকে মাঠে জল দিতে যান তিনি আবার শ্রীর খোঁজ করেন।
ভারতীয় স্পিনারের কথায়, “আমি আবার ড্রিঙ্কস ডিউটিতে ফিরে যাই। পরের বার আমি হেলমেট নিয়ে গিয়েছিলাম। সে বার বুঝতে পারি যে এমএস রেগে গিয়েছে। ওকে আমি ওই ভাবে রাগতে দেখিনি। এরপর ও প্রশ্ন করে ‘শ্রী কোথায়? কী করছে ও?” মাহিকে এরপর অশ্বিন জানান, তিনি শ্রীকে তাঁর বার্তা দিয়েছেন। এরপরই ধোনি ফের অশ্বিনকে ডাকেন এবং বলেন, ‘যাও একটা কাজ করো। রাজীব স্যারকে বলো যে ও এখানে থাকতে ইচ্ছুক নয়। ওর জন্য যেন একটা কালকের টিকিট বুক করে দেওয়া হয়। যাতে ও ভারতে ফিরে যেতে পারে।’ ধোনির এমন কথা শুনে চমকে গিয়েছিলেন অশ্বিন। ধোনির কড়া বার্তা শুনে শ্রীসন্থ তৈরি হয়ে নীচে নেমে আসেন এবং রিজার্ভ প্লেয়ারদের সঙ্গে বসেন। ড্রিঙ্কস দেওয়ার দায়িত্বও পালন করেন। অশ্বিন জানান, ধোনির এমন রূপ কখনও দেখেননি। তাই বিরাট চমকে গিয়েছিলেন।