
এশিয়া কাপে একই গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। গ্রুপে তথাকথিত দুর্বল দল হংকং। আফগানিস্তান প্রথম ম্যাচে হংকংকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল। নেট রান রেট দুর্দান্ত আফগানিস্তানের। দুটি গ্রুপ থেকে প্রথম দুই দল সুপার ফোরে জায়গা করে নেবে। নেট রান রেট যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের কাছেও সুযোগ ছিল হংকংকে সহজে হারিয়ে নেট রান রেটে উন্নতি করার। যদিও হংকংকে হারাতেই হিমসিম পরিস্থিতি বাংলাদেশের। লিটন দাস দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
আবু ধাবিতে এ দিন প্রথমে ব্যাট করে হংকং। উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তুলনামূলক ভালো ব্যাটিং। হংকং ক্যাপ্টেন রান আউট না হলে আরও চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হত বাংলাদেশকে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৪৪ রানের টার্গেট দেয় হংকং। মনে করা হয়েছিল, বাংলাদেশ অন্তত ১৫ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ জিতে নেবে। কিন্তু অপেক্ষা করতে হল ১৭.৪ ওভার অবধি। শেষ অবধি ৭ উইকেটে জয়।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশি রানের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে এখন লিটন দাস। প্রাক্তন ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানের পরই রয়েছেন বর্তমান ক্যাপ্টেন। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৫৯ রানে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন লিটন। তৌহিদ হৃদয় ৩৫ রান করলেও স্ট্রাইকরেট ১০০ এরও কম! প্রশ্ন উঠছে দুই ওপেনারকে নিয়েও।
বোর্ডে মাত্র ১৪৪ রানের লক্ষ্য। কিন্তু দুই ওপেনার অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করেন। পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বলে ১৯ এবং তানজিদ হাসান ১৮ বলে ১৪ রান করেন! ক্যাপ্টেন লিটন দাস দুর্দান্ত ইনিংস না খেললে এই ম্যাচ বের করা কঠিন ছিল বাংলাদেশের পক্ষে।