
কলকাতা: মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব ১৪ দলের কোচ হলেন অঙ্কিত চ্বান। এই তথ্য তো গড়পড়তা। এক কোচের বিদায় হলে আর এক কোচ আসবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু অঙ্কিতের ইতিহাস খুঁজতে বসে মিলছে অবাক করা তথ্য। ২০১৩ সাল ভারতীয় ক্রিকেটের কলঙ্কিত সময়। আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ধরা পড়েছিলেন তিন ক্রিকেটার। শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ, অজিত চাণ্ডিলার সঙ্গে ছিলেন তিনিও। স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হওয়ার পরই ক্রিকেট থেকে অজীবন নির্বাসিত হন তিন ক্রিকেটারই। আদালতে পাল্টা চ্যালেঞ্জি করে ক্রিকেট ফেরেন শ্রীসন্থ। আবার কেরলের হয়ে খেলেন রঞ্জি ক্রিকেট। বাকি দু’জন চলে যান লোকচক্ষুর আড়ালে। অঙ্কিত আবার মুম্বইয়ের যুব দলের কোচ হওয়ার মধ্যে দিয়ে ফিরলেন ক্রিকেটের মূলস্রোতে।
২০২১ সালে শ্রীসন্থের মতো চিরনির্বাসন উঠে যায় বাকি দু’জনেরও। ২০২৩ সালে নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হয় অঙ্কিতের। তিনি আর ক্রিকেটে ফেরেননি। একদা মুম্বইয়ের হয়েই রঞ্জি খেলেছেন। নির্বাসন ওঠার পর কোচিংয়ে মন দেন অঙ্কিত। পাশ করেছেন লেভেল ওয়ান কোচিং পরীক্ষাও। সেই অঙ্কিতকে মূলস্রোতে ফেরাল মুম্বইয়ের মতো ক্রিকেট খেলিয়ে রাজ্য। যা অনেককেই চমকে দিয়েছে। অঙ্কিতকে কোচ করার পাশাপাশি ওঙ্কার সালভিকে সিনিয়র দলের কোচ করা হল। গত আইপিএলে যিনি ছিলেন আরসিবির বোলিং কোচ। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান থেকে গেলেন সন্দীপ পাটিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে অঙ্কিত বলেছেন, ‘এটা আমার জীবনের সেকেন্ড ইনিংস। কোচিংকেই আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছি। জীবনে ফিরে আসার সুযোগ এক-আধবার ঠিক পাওয়া যায়। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাব, আমার উপর ভরসা রাখার জন্য। কোচিং আমার মাথায় বরাবরই ছিল। সামনে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তাও জানি। অনূর্ধ্ব ১৪ দলের কোচ হিসেবে আমি প্লেয়ারদের বেকিসে জোর দিতে চাই। এটা করতে পারলে ওরা আগামী দিনে আরও ভালো খেলতে পারবে।”