Ranji Trophy: ওস্তাদের মার শেষ ইনিংসে, বরোদাকে হারাল বাংলা
শনিবার ৩৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলা। সুদীপ ঘরামি আউট হন ২৭ রানে। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় কোনও রান না করে ফিরে যান। বাংলার স্কোরবোর্ডকে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অভিমন্যু ঈশ্বরন আর অনুষ্টুপ মজুমদার।
বরোদা ১৮১ ও ২৫৫
বাংলা ৮৮ ও ৩৫০/৬
কটক: রঞ্জিতে (Ranji Trophy) বাংলার (Bengal Cricket Team) দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। প্রথম ইনিংসে ৯৩ রানে পিছিয়ে থাকার পরও অবিশ্বাস্য জয়। বরোদার বিরুদ্ধে ৩৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রার সামনে দাঁড়িয়েও প্রত্যাঘাত বাংলার ব্যাটারদের। অধিনায়কোচিত ইনিংস অভিমন্যু ঈশ্বরনের। দুরন্ত জয়ে অবদান রেখে গেলেন শাহবাজ আহমেদ আর অভিষেক পোড়েলও (Abhishek Porel)। রঞ্জি অভিষেকেই দায়িত্বশীল ব্যাটিং অভিষেক পোড়েলের। ম্যাচ জয়ের অন্যতম কারিগর শাহবাজ আহমেদ অপরাজিত থাকলেন ৭১ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলা দল ৮৮ রানে অল আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াল। বরোদাকে ৪ উইকেটে হারানোয় জয় দিয়েই রঞ্জি অভিযান শুরু করল বঙ্গব্রিগেড। বাংলা দলের পারফরম্যান্স দেখে একটাই শব্দ বলা যায়- এ ভাবেও ফিরে আসা যায়।
শনিবার ৩৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলা। সুদীপ ঘরামি আউট হন ২৭ রানে। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় কোনও রান না করে ফিরে যান। বাংলার স্কোরবোর্ডকে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অভিমন্যু ঈশ্বরন আর অনুষ্টুপ মজুমদার। চতুর্থ দিন সকালে অভিমন্যু আর অনুষ্টুপের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলা। ৭৯ করেন অধিনায়ক ঈশ্বরন। অনুষ্টুপ আউট হন ৩৩ রানে। ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফিরে যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও। মনোজ তিওয়ারি-শাহবাজ আহমেদ জুটি বাংলার স্কোরবোর্ডকে সচল রাখার চেষ্টা করেন। ৩৭ রানে আউট হন মনোজ।
২৪২-৬ হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলা দল। নবাগত অভিষেক পোড়েলকে সঙ্গী করেই লড়াই চালান শাহবাজ। আর সেই লক্ষ্যেই সফল দুই তরুণ ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দল থেকে ফিরেই বাংলার সিনিয়র টিমে জায়গা করে নেন অভিষেক পোড়েল। অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফিতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। রঞ্জিতেও দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং অভিষেকের। সপ্তম উইকেটের জুটিতে উঠল ১০৮ রান। শাহবাজ অপরাজিত থাকলেন ৭১ রানে। অভিষেক নট আউট ৫৩ রানে।
আরও পড়ুন: Premier League: সালাহ-মানে-দিয়াজের চমকে লিভারপুলের জয়