রঞ্জি ট্রফিতে এ বার নানা কারণে ব্যাকফুটে বাংলা। এ মরসুম শুরু হয়েছিল উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে। দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল বাংলা। প্রথম ইনিংস লিড নেওয়ার পর ৬ পয়েন্টের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল বাংলা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে উত্তরপ্রদেশের তরুণ ব্যাটার প্রিয়ম গর্গ একা কুম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলাকে তিন পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এরপর থেকে শুধুই বাধা বাংলা ক্রিকেটে। এ বার বোর্ডের দ্বারস্থ বাংলা ক্রিকেট সংস্থা।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। এর প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর হবে আন্দাজ করা কঠিন। তবে কলকাতাতেও যে বৃষ্টির দাপট থাকবে এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকাই যায়। এই অবস্থায় বাংলার জোড়া ম্যাচ পিছোতে বোর্ড সচিবের দ্বারস্থ বাংলা ক্রিকেট সংস্থা। রঞ্জিতে বাংলার ম্যাচ কল্যাণী থেকে সল্টলেকের যাদবপুর ক্যাম্পাসে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাতেও স্বস্তি নেই। একদিকে ২৬ তারিখ থেকে সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু বাংলা-কেরল রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। অন্য দিকে, ২৭ তারিখ থেকে অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটে কল্যাণীতে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলা। এই দুটো ম্যাচ পিছোতে বোর্ডের দ্বারস্থ সিএবি।
রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার প্রথম হোম ম্যাচ ছিল বিহারের বিরুদ্ধে। কল্যাণীতে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্য়াশা ছিল, ওই ম্যাচ থেকে অন্তত ছয় পয়েন্ট। এমনকি বোনাস পয়েন্টের জন্যও ঝাঁপানো যেত। কিন্তু সিএবির দায়সারা মনোভাবে দুর্বল বিহারের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেনি বাংলা। কল্যাণীতে মাত্র আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টির জেরে চার দিন ম্যাচই শুরু যায়নি। এক পয়েন্ট করে ভাগাভাগি হয়েছে। সিএবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ময়দান। এই অবস্থায় কেরল ম্যাচও ভেস্তে গেলে বাংলার পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হবে। ‘দানা’কে হাতিয়ার করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় সিএবি কর্তারা।
বাংলা-কেরল ম্যাচ পিছোলে আরও একটা লাভ হতে পারে। এই ম্যাচে খেলার কথা সঞ্জু স্যামসনের। নভেম্বরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে ভারতের টি-টোয়েন্টি টিম। সঞ্জু স্যামসন জাতীয় দলে থাকবেন। এই ম্যাচ পিছোলে রঞ্জিতে সঞ্জু নামতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। বাংলার মুকেশ কুমার, অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং অভিষেক পোড়েল অস্ট্রেলিয়ায় ভারত এ দলের হয়ে খেলবেন। ফলে কেরল ম্যাচে বাংলাও তিন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারকে পাবে না।