
ক্রিকেট বিশ্বে সাদা বলের ফরম্যাট বলতে রমরমা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের। বেশ কিছু দেশেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। সেরা ক্রিকেটাররা অংশ নেন এই টুর্নামেন্টে। তবে রেজিস্ট্রেশন করলেই সুযোগ মেলে না। আইপিএলের গত অকশনেও দেখা গিয়েছিল সেই পরিস্থিতি। অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। টিম পাননি জেমস অ্যান্ডারসনের মতো কিংবদন্তিও। বিশ্বের নানা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এবং বিভিন্ন দেশের এই ফরম্যাটের প্রতি আগ্রহ দেখে একটা সময় প্রশ্ন উঠেছিল, ওয়ান ডে ক্রিকেট কি আদৌ বেঁচে থাকবে?
বুধে শুরু হচ্ছে মিনি বিশ্বকাপ। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। এশিয়া কাপের গত সংস্করণের কিছু ম্যাচ হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে। কিন্তু হতাশার বিষয় নিজেদের দলের ম্যাচেই পাকিস্তানের মাঠ ফাঁকা ছিল। সে কারণেই একদিকে যেমন বলা যায়, ওয়ান ডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ চিত্র মিলবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে। একই ভাবে এটাও বলতে হবে, পাকিস্তানে যে ম্যাচগুলি হবে, তা দিয়ে আদৌ সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে কি না। পাকিস্তানের কাছে এটা বড় চ্যালেঞ্জের।
প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুবাইতে ভারত অভিযান শুরু করছে। ভারতের ম্যাচগুলি হবে দুবাইতে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও। গ্রুপ পর্বের এই তিনটি ম্যাচেই আসল চিত্রটা বোঝা যাবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট নিয়ে অবশ্য হাহাকার। ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের উপর যেন অনেক কিছুই নির্ভর করছে। উপসংহার হিসেবে বলা যায়, ওয়ান ডে ফরম্যাটের ভবিষ্যৎ যেন নির্ভর করবে হাতে গোনা কয়েকটি দেশের পারফরম্যান্সের উপরই।