
রিঙ্কু সিং কেন এশিয়া কাপের টিমে? স্কোয়াড বাছাইয়ের পর থেকে এই প্রশ্নটা উঠছিল। শুভমন গিল ভাইস ক্যাপ্টেন হয়েছেন। সেটা নিয়ে যেমন প্রশ্ন, তেমনই শ্রেয়স আইয়ারের সুযোগ না পাওয়া নিয়েও। উত্তর প্রদেশ প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। রিঙ্কু সিং যেন এক ইনিংসেই নানা প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বোলিংও ভরসা দিতে পারে ভারতীয় দলকে। এর আগে জাতীয় দলে বোলিং করেছেন। তবে নিয়মিত বোলিং করানো হয় না। আইপিএলেও করেন না। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে বোলিংয়েও নিয়মিত দেখা যায়। উইকেটও নেন। এশিয়া কাপের আগে কেন আলোচনায় রিঙ্কু সিং?
সাম্প্রতিক ফর্ম চাপে রেখেছিল রিঙ্কু সিংকে। বা বলা যায়, প্রশ্নের সামনে রেখেছিল। এর আগে সাত ম্যাচে মাত্র ৬৭ রান। আইপিএলে শেষ ২৮ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি নেই। তারপরও রিঙ্কু সিংকে কেন নেওয়া হল, প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। স্কোয়াড বাছাইয়ের আগে অনেকেই মনে করেছিলেন, এশিয়া কাপে সুযোগ মিলবে না রিঙ্কুর। সাম্প্রতিক ফর্মের জেরেই এ কথা বলা হয়েছিল। নির্বাচক, কোচ, ক্যাপ্টেন, টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা রেখেছে রিঙ্কুর উপর।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন ১০ সেপ্টেম্বর আরব আমির শাহির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে ভারতীয় দল। তার আগে রিঙ্কু সিংয়ের একটা দমদার ইনিংস টিম ম্যানেজমেন্টকেও স্বস্তি দিল। উত্তরপ্রদেশ প্রিমিয়ার লিগে রিঙ্কু সিং যখন ব্যাটিংয়ে আসেন, মিরাট ম্যাভেরিক্সের পরিস্থিতি সঙ্গীন। ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তেই ৩১ রানে ৩ উইকেট। অষ্টম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে ৩৮ রানে চতুর্থ উইকেট। ধ্রুব জুরেলের নেতৃত্বাধীন গোরখপুর লায়ন্স ততক্ষণে ধরেই নিয়েছে, ম্যাচ তাদের দখলে। কিন্তু এরপরই রিঙ্কু সিংয়ের তাণ্ডব।
মাত্র ৪৮ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। সাতটি বাউন্ডারি এবং আটটি ছয়। ২২৫ স্ট্রাইকরেট। ম্যাচ প্রসঙ্গে রিঙ্কু বলেন, ‘এশিয়া কাপের স্কোয়াডে সুযোগ পাব কি না, আমিও নিশ্চিত ছিলাম না। মাথায় অনেক কিছুই ঘুরছিল। আইপিএলে অনেকেই ভালো পারফর্ম করেছে। সুতরাং, সুযোগ পাবই এই নিশ্চয়তা ছিল না। তবে নির্বাচকরা আমার উপর ভরসা দেখিয়েছেন, চেষ্টা থাকবে তার মর্যাদা রাখার।’