DC vs PBKS : ম্যাচের সেরার পুরস্কার, প্রীতির আলিঙ্গন; প্রভসিমরনের সাফল্যের রাত
Delhi Capitals vs Punjab Kings Post Match : পঞ্জাব কিংস এই ম্যাচে করেছিল ১৬৭ রান। এর মধ্যে ১০৩ রানই এসেছে প্রভসিমরনের ব্যাটে। তেমনই পঞ্জাবের দুই স্পিনার হরপ্রীত ব্রার ও রাহুল চাহারের অনবদ্য বোলিং।

দীপঙ্কর ঘোষাল : ক্যাচ মিস, ম্যাচ মিস। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। ক্যাচ মিসের চেয়েও বাড়তি কৃতিত্ব প্রাপ্য, দ্বিতীয় সুযোগ কাজে লাগানো। এমনটাই করেছেন প্রভসিমরন সিং। এ মরসুমে বেশ কিছু ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন প্রভসিমরন সিং। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক কেন তাঁর ওপর এত ভরসা করছিলেন, কোনও উত্তর মিলছিল না। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে একটা ইনিংস যেন সব প্রশ্নের জবাব। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব কিংস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফর্মে থাকা অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের উইকেট হারানো পঞ্জাব কিংসকে প্রবল চাপে ফেলে। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মন্থর পিচ। নতুন বলে তবু কিছুটা শট খেলা যায়। বল পুরনো হলে, শট খেলা কার্যত অসম্ভব। এরপর শুধুই স্পিনারদের রাজত্ব। কিন্তু প্রভসিমরনের শটের বৈচিত্র কোনও বাধাই আটকাতে পারেনি তাঁকে। ১০৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ম্যাচ শেষে প্রাপ্তি সেরার পুরস্কার, দলের অন্যতম কর্ণধার প্রীতি জিন্টার আলিঙ্গন। আইপিএল কেরিয়ারে প্রথম শতরানের পর কী বলছেন প্রভসিমরন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রভসিমরন সে সময় ৬৮ রানে ব্যাট করছিলেন। একটা মিস টাইম শট। বল অবধি পৌঁছেও গিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের রাইলি রোসো। কিন্তু ক্যাচ নিতে পারেননি। না হলে পঞ্জাব ইনিংসের পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো। ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে প্রভসিমরন বলছেন, ‘ক্রিজে নেমে খুব বেশি ভাবছিলাম না। তবে উল্টোদিক থেকে যখন উইকেট পড়তে শুরু করল, লক্ষ্য ছিল, যতটা বেশি সময় সম্ভব ক্রিজে কাটাবো।’ এ মরসুমে তাঁর ব্যাটে আগেও একটা অর্ধশতরানের ইনিংস এসেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও দারুণ ছন্দে ছিলেন। এ দিনও শটের নানা বৈচিত্র দেখা গেল। ঘরোয়া ক্রিকেটের ছন্দই কি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল? প্রভসিমরনের কথায়, ‘টিমের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরেই রয়েছি। সিনিয়রদের থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়েছে। আমি শুধু সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। এই পিচে ব্যাট করা খুবই কঠিন ছিল। স্পিনাররা টার্ন পাচ্ছিল। স্যামের (কারান) সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়তে চাইছিলাম। পরের দিকে বড় শট খেলার চেষ্টা করতাম।’
পঞ্জাব কিংস এই ম্যাচে করেছিল ১৬৭ রান। এর মধ্যে ১০৩ রানই এসেছে প্রভসিমরনের ব্যাটে। তেমনই পঞ্জাবের দুই স্পিনার হরপ্রীত ব্রার ও রাহুল চাহারের অনবদ্য বোলিং। প্রভসিমরনের ইনিংস কতটা গুরুত্বপূর্ণ, পঞ্জাবের ৩১ রানের জয়ই তার প্রমাণ। প্রভসিমরনও বলছেন, ‘আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। দীর্ঘ সময় ধরে এরই অপেক্ষা করেছি। অনেক ম্যাচেই ভালো শুরু করেছি। সিনিয়ররা বুঝিয়েছে, ইনিংস বড় করতে হবে। অবশেষে পারলাম। সে কারণেই, এই সেলিব্রেশন। ঘরোয়া ক্রিকেটে এভাবেই সেলিব্রেশন করি।’





