
কলকাতা: পিচ বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না আইপিএলকে! ইডেনের পিচ নিয়ে চলেছেব বিস্তর জলঘোলা। নাইটদের দাবি মেনে কখনও স্পিন সহায়ক পিচ, পরের ম্যাচেই আবার ব্যাটিং উপযোগী বাইশ গজ। এ নিয়ে বিতর্ক শেষ হচ্ছে না। ইডেনের ভূত এ বার তাড়া করল চিন্নাস্বামীকেও। ঘরের মাঠে খেললেও কেন পছন্দসই পিচ পাচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো? আরও তীব্র আকার নিচ্ছে এই প্রশ্ন। যে কোনও টিমই ঘরের মাঠে যখন খেলে, সাধারণত তাদের পছন্দ মতোই তৈরি হয় পিচ। এ বার সেই অলিখিত নিয়ম বারবার ভাঙা হচ্ছে। কেকেআরের পর আরসিবি তুলে দিল নতুন বিতর্ক। তাতে কিন্তু অস্বস্তি বাড়ছে বোর্ডের।
বৃহস্পতিবার চিন্নাস্বামীতে মুখোমুখি হয়েছিল আরসিবি ও দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দেয় বেঙ্গালুরু। প্রথম ১১ ওভারে ৬৭-৪ ছিল দিল্লি। সেখান থেকে দিল্লিকে জেতান রাহুল ও স্টাবস। বিরাটদের এই হারের পিছনে পিচ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, ব্যাটিং কোচ দীনেশ কার্তিককে প্রশ্ন করাতেই ক্ষোভ উগড়ে দেন। বলেছেন, ‘আমরা যে দুটি ম্যাচ এই মাঠে খেলেছি, দুটিতেই পিচ চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রথম খেলায়, দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়েছিল, তাই ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। এই ম্যাচে খুব বেশি শিশির পড়েনি, কিন্তু পিচ শক্ত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত বৃষ্টি এসে পরিস্থিতি বদলে দিল। পার্থক্যটা দেখাই যাচ্ছে। যে সমস্ত শট দিল্লির ব্যাটাররা খেলেছে তা এই পিচে কার্যত অসম্ভব ছিল।’
চিন্নাস্বামীর পিচ শুরুতে একটু মন্থর ছিল। বল থমকে আসছিল ব্যাটে। কার্তিকের কথায়, ‘আমার ইনিংসটা যদি দেখেন, একটা ভালো স্কোর খাড়া করতে পেরেছিলাম। ওরা সেখানে অল্প রানেই ৪ উইকেট খুইয়েছে। রাহুল ও স্টাবসের মধ্যে একজনকে আউট করতে পারলেই ম্যাচে জিততে পারতাম।’
আরসিবি এখনও পর্যন্ত তাদের তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতেছে। কিন্তু ঘরের মাঠে দুটি ম্যাচ খেললেও জয়ের খাতা খুলতে পারেনি। দীনেশ কার্তিক পিচ কিউরেটর ও মাঠকর্মীদের উপর ভরসা রেখেছেন। তিনি বলেছেন, কিউরেটরের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। তাঁর ধারণা পরের ম্যাচের পিচ টিম ম্যানেজমেন্টের পছন্দসই হবে।