AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jofra Archer: দুই দেশ জোফ্রা আর্চারের, ‘জোড়া’ গার্লফ্রেন্ডও!

জোফ্রা আর্চারের জীবনের রঙিন দিকে একটু উঁকি দেওয়া যাক। ক্রিকেট যেমন খেলেছেন দুই দেশের হয়ে, জোফ্রার ডেটিং লাইফের কথা বলতে গেলেই দুই নারীর কথা সামনে আসে।

Jofra Archer: দুই দেশ জোফ্রা আর্চারের, 'জোড়া' গার্লফ্রেন্ডও!
দুই দেশ জোফ্রা আর্চারের, 'জোড়া' গার্লফ্রেন্ডও!Image Credit: X, Jofra Archer Insta
| Updated on: Apr 25, 2025 | 9:23 PM
Share

এখনকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পেসারদের প্রসঙ্গ উঠলে, ইংল্যান্ডের জোফ্রা আর্চারের (Jofra Archer) কথা মাথায় আসেই। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চেও অতি পরিচিত নাম। তাঁর ক্রিকেট পারফরম্যান্স, বোলিং-সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে কার্যত সকলেরই কম বেশি জানা। এর মাঝেও অনেক অজানা রয়েছে। বিশেষ করে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন যে অনেকটাই অজানা। ক্রিকেট খেলেছেন দু-দেশের হয়ে, গার্লফ্রেন্ডও কি দুই? সেই আর্চারকে নিয়ে একটু কথা হোক।

জোফ্রা আর্চারের জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে। কিন্তু খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে। এক দেশের ক্রিকেটার অন্য দেশের জার্সিতে খেলছেন, এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে। কিন্তু জোফ্রার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে সুযোগ এবং ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়! কী করে?

ওয়েস্ট ইন্ডিজেই তাঁর ক্রিকেট জীবনের শুরু। ছোট থেকেই প্রতিভাবান বোলার ছিলেন জোফ্রা। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রতিনিধিত্বও করেছিলেন। এবারেই জীবনের মোড় ঘুরে যায় জোফ্রার। জোফ্রার বাবা ইংল্যান্ডের। সেই সূত্র ধরেই জোফ্রাও ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব পান। আর্চার ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সাসেক্সের হয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হয়।

জোফ্রার বিশ্বকাপ ব্রেক থ্রু অবশ্য থ্রিলার মুভির মতোই। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ। সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী ইংল্যান্ড দলে জায়গা হওয়ার কথা ছিল না জোফ্রার। কারণ, ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক দলে খেলার জন্য বাইরে থেকে আসা কাউকে অন্তত ৭ বছর ওই দেশের নাগরিক হয়ে কাটাতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। এক্সপ্রেস গতির জোফ্রাকে খেলাতে মরিয়া ছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।

জোফ্রার জন্য নিয়মই বদলে দেওয়া হয়। সাত বছরটা হয়ে যায় মাত্র ৩ বছর! সেই সময়টা কমপ্লিট হতেই আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড জার্সিতে মহড়া দেন আর্চার। এরপর বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও। ক্রিকেটের আঁতুড় ঘর হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ড প্রথম বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জেতে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি আর্চারকে। ফিট থাকলে তাঁকে দলের বাইরে রাখা কঠিন। ২০১৮ সাল থেকে আইপিএলেও খেলছেন আর্চার।

সফলতা তো এল। এবার চলুন আর্চারের জীবনের রঙিন দিকে একটু উঁকি দেওয়া যাক। ক্রিকেট যেমন খেলেছেন দুই দেশের হয়ে, জোফ্রার ডেটিং লাইফের কথা বলতে গেলেই দুই নারীর কথা সামনে আসে। প্রথম, ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার হেইলি ম্যাথিউজ। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধু তাঁরা। হেইলিকে তাঁর খেলায় আরও উন্নতি করতে অনেক সাহায্য় করেছেন জোফ্রা। দু-জনকে নিয়ে নানা জল্পনাও শুরু হয়। হেইলি অবশ্য স্রেফ বন্ধুত্ব বলেই এড়িয়ে গিয়েছেন।

হেইলি বরং কেরিয়ারের শুরুর দিকের কথা প্রসঙ্গে বলেছেন, ১৪ বছরের হেইলি ১৯ বছরের জোফ্রার বোলিংয়ে প্র্যাক্টিস করেছেন, খেলার সুযোগ পেয়েছেন। সে কারণেই তাঁর খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার ভারতে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলেন। এবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই। একটা সময় আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন জোফ্রা আর্চারও।

এখানে অবশ্য ইতি নয়। এক রহস্যময়ীর সঙ্গে হামেশাই দেখা গিয়েছে জোফ্রাকে। তিনি ড্রুয়ানা (Druana) বাটলার। তাঁরা কি সম্পর্কে রয়েছেন? এই জল্পনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাঁদের একাধিকবার একসঙ্গে নানা সেলিব্রেশনে দেখা গিয়েছে। এমনকি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসে আর্চারের প্রথম পর্বে টিমের জার্সিতে সাপোর্ট করতে দেখা গিয়েছে ড্রুয়ানাকে। বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবিও। হতেই পারে জল্পনা, কিংবা এখনই প্রকাশ্যে আনতে চান না বিষয়টি!