
দলীপ ট্রফি ফিরছে পুরনো ফরম্যাটে। গত মরসুমে ভারত এ, বি, সি… এভাবে দল গড়া হয়েছিল। এ বার হবে জোনাল ফরম্যাটেই। টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের দীর্ঘ মরসুম রয়েছে। ফলে দলীপ ট্রফি তার প্রস্তুতিও বলা যায়। সদ্য ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সাইকেলের প্রথম সিরিজ ড্র, খারাপ রেজাল্ট বলা যায় না। বিশেষত একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার এবং নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলের নেতৃত্বে। আসন্ন টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে দলীপ ট্রফিতে।
পুরনো ফরম্যাট অনুযায়ী এ বার যে দল হয়েছে অর্থাৎ- নর্থ জোন, সাউথ জোন, ইস্ট জোন, ওয়েস্ট জোন, সেন্ট্রাল জোন এবং নর্থ-ইস্ট জোন। এর আগে ২০২৩ সালে এই ফরম্যাটে খেলা হয়েছিল। সে বারের দুই ফাইনালিস্ট সাউথ জোন এবং ওয়েস্ট জোন সরাসরি সেমিফাইনালে খেলবে। নকআউট টুর্নামেন্ট। বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু এশিয়া কাপ। তাঁরা এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকলে দলীপে পাওয়া যাবে না। চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন ইস্ট জোনের আকাশ দীপ। বাংলার পেসারের পরিবর্তে স্কোয়াডে এসেছেন অসমের মুখতার হোসেন। ম্যাচগুলি হবে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেন্টার অব এক্সলেন্সের (অতীতে এনসিএ নামে পরিচিত ছিল) নানা মাঠে। লাল-বলের এই টুর্নামেন্টের স্কোয়াড এবং পূর্ণ সূচি রইল।
প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ২৮-৩১ অগস্ট, নর্থ জোন বনাম ইস্ট জোন, গ্রাউন্ড ১ বেঙ্গালুরু
দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ২৮-৩১ অগস্ট, সেন্ট্রাল জোন বনাম নর্থ-ইস্ট জোন, গ্রাউন্ড ২ বেঙ্গালুরু
প্রথম সেমিফাইনাল ৪-৭ সেপ্টেম্বর, সাউথ জোন বনাম প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী দল, গ্রাউন্ড ১ বেঙ্গালুরু
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ৪-৭ সেপ্টেম্বর, নর্থ জোন বনাম দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী, গ্রাউন্ড ২ বেঙ্গালুরু।
ফাইনাল ১১-১৫ সেপ্টেম্বর, প্রথম সেমিফাইনাল বনাম দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী, গ্রাউন্ড ১ বেঙ্গালুরু।
সাউথ জোন স্কোয়াড-তিলক ভার্মা (ক্যাপ্টেন), মহম্মদ আজহারউদ্দিন (ভাইস ক্যাপ্টেন), তন্ময় আগরওয়াল, দেবদত্ত পাড়িক্কল, মোহিত কালে, সলমন নিজার, নারায়ণ জগদীশন, ত্রিপুরানা বিজয়, সাই কিশোর (ফিটনেসের উপর নির্ভর করছে), তনয় ত্যাগরাজন, বিজয়কুমার বিশাখ, নিধেশ, রিকি ভুই, বসিল এনপি, গুরজপনীত সিং, স্নেহাল কৌঠাঙ্কার।
ইস্ট জোন স্কোয়াড-ঈশান কিষাণ (ক্যাপ্টেন), অভিমন্যু ঈশ্বরণ (ভাইস ক্যাপ্টেন), সন্দীপ পট্টনায়েক, বিরাট সিং, ডেনিস দাস, শ্রীদাম পাল, শরণদীপ সিং, কুমার কুশাগ্র, রিয়ান পরাগ, উৎকর্ষ সিং, মণীষী, সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, মুকেশ কুমার, মুখতার হোসেন, মহম্মদ সামি।
ওয়েস্ট জোন স্কোয়াড-শার্দূল ঠাকুর, যশস্বী জয়সওয়াল, আর্য দেশাই, হার্ভিক দেশাই, শ্রেয়স আইয়ার, সরফরাজ খান, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, জয়মীত প্যাটেল, মনন হিংরাজিয়া, সৌরভ নাবালে, শামস মুলানি, তনুষ কোটিয়ান, ধর্মেন্দ্র সিং জাডেজা, অর্জন নাগসওয়ালা।
নর্থ জোন স্কোয়াড-শুভমন গিল (ক্যাপ্টেন), শুভমন খাজুরিয়া, অঙ্কিত কুমার (ভাইস ক্যাপ্টেন), আয়ুষ বাদোনি, যশ ধূল, অঙ্কিত কলসি, নিশান্ত সিন্ধু, সাহিল লোটরা, মায়াঙ্ক ডাগর, যুধবীর সিং, অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, অংশুল কম্বোজ, আকিব নবি, কানহাইয়া ওয়াধাবান।
সেন্ট্রাল জোন স্কোয়াড- ধ্রুব জুরেল (ক্যাপ্টেন) রজত পাতিদার, আর্য জুয়েল, দানিশ মালেবর, সঞ্চিত দেশাই, কুলদীপ যাদব, আদিত্য ঠাকারে, দীপক চাহার, সারাংশ জৈন, আয়ুষ পান্ডে, শুভম শর্মা, যশ রাঠোর, হর্ষ দুবে, মানব সুথার, খলিল আহমেদ।
নর্থ-ইস্ট জোন স্কোয়াড-তেচি দোরিয়া, ইয়ামনাম করণজিৎ, সেদেজালিয়ে রুপেরো, আশিস থাপা, হেম বাহাদূর ছেত্রী, জেহু অ্যান্ডারসন, অর্পিত ভাটেওয়ারা, ফেইরোজাম যতিন সিং, পালজোর তামাং, জোনাথন রংসেন (ক্যাপ্টেন), অঙ্কুর মালিক, আকাশ চৌধুরি (ভাইস ক্যাপ্টেন), বিশ্বর্জিত সিং, আর্য বোরা, লম্বম অজয় সিং