
টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং! রজত পাতিদারের ক্ষেত্রে এমনই বলা যায়। দলীপ ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে বিধ্বংসী ব্যাটিং। শুধু তাই নয়, সেন্ট্রাল জোন ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিও। সঙ্গে দানিশ মালেবরের অনবদ্য ইনিংস। প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে দ্রুত খেলা শেষ হলেও রানের পাহাড়ে সেন্ট্রাল জোন। সৌজন্যে রজত ও দানিশের দুর্দান্ত ইনিংস। প্রথম দিনই চারশো পার। রজত আউট হলেও ক্রিজে রয়েছেন দানিশ। তাঁর ডাবল সেঞ্চুরি এখন সময়ের অপেক্ষা।
বেঙ্গালুরুতে চলছে দলীপ ট্রফি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের গ্রাউন্ডে খেলা। সেন্ট্রাল জোন বনাম নর্থ ইস্ট জোনের একপেশে ম্যাচ এখনও অবধি। সেন্ট্রাল জোনে রজত পাতিদার, আর্য জুয়েল, কুলদীপ যাদব, দীপক চাহার, খলিল আহমেদের মতো একাধিক পরিচিত নাম। আর শুরুতেই ভুল করে বসেন প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট জোন ক্যাপ্টেন রংসেন জোনাথন। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি সেন্ট্রাল জোন।
সেন্ট্রাল জোন ওপেনার আয়ুষ পান্ডেকে দ্রুত ফেরান নর্থ ইস্ট জোনের পেসার আকাশ চৌধুরি। তা যথেষ্ট ছিল না। আর এক ওপেনার আর্য জুয়েলের সঙ্গে বড় পার্টনারশিপ গড়েন তিনে নামা দানিশ মালেবর। ৬০ রানে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন আর্য জুয়েল। এরপরই ক্রিজে প্রবেশ ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ক্যাপ্টেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। টেস্ট খেলেছেন। সুতরাং, তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। পুরোপুরি তা কাজে লাগান দলীপেও।
সেন্ট্রাল জোন বনাম নর্থ ইস্ট জোন প্রথম দিন খেলা হল মাত্র ৭৭ ওভার। তাতেই ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩২ রান তুলে নিয়েছে সেন্ট্রাল জোন। ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার মাত্র ৯৬ বলে ১২৫ রান করে ফেরেন। ২১টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারি। স্ট্রাইকরেট ১৩০-এর উপর। অন্য দিকে, দানিশ মালেবর ২১৯ বলে ১৯৮ রানে ক্রিজে রয়েছেন। ৩৫টি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন দানিশ। ক্রিজে দানিশের সঙ্গে রয়েছেন যশ রাঠোড়। ৩৭ বলে ৩২ করেছেন তিনি। এই ম্যাচ পুরোপুরি সেন্ট্রাল জোনের নিয়ন্ত্রণেই।