Richa Ghosh: রিচা ঘোষকে সত্যিই কি ছোট মাহি বলে ডাকা হয় ভারতের ড্রেসিংরুমে? বিশ্বজয়ী যা শোনালেন…
ইডেনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রিচার সামনে একগুচ্ছ প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁকে ড্রেসিংরুমে ছোট মাহি বলে ডাকা হয় কি না, এত ছয় মারার কী প্রস্তুতি নেন তিনি, চাপমুক্ত থাকতে কী করেন তিনি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সকল প্রশ্নের কী উত্তর দিলেন রিচা।

২২ বছর বয়সে বিশ্বজয় করে লাইমলাইটে শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সারা বাংলা। ভারতীয় ক্রিকেট মহলে অনেকে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে মিল খোঁজেন রিচা ঘোষের। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার ধোনি। রিচাকেও সেই আসনেই বসান অনেকে। ইডেনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রিচার সামনে একগুচ্ছ প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁকে ড্রেসিংরুমে ছোট মাহি বলে ডাকা হয় কি না, এত ছয় মারার কী প্রস্তুতি নেন তিনি, চাপমুক্ত থাকতে কী করেন তিনি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সকল প্রশ্নের কী উত্তর দিলেন রিচা।
রিচা ঘোষকে বেশ নার্ভাস দেখাচ্ছিল সিএবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মঞ্চে। তিনি বলেন, “প্রথমেই বলি সকলকে ধন্যবাদ। বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সকলেরই থাকে। আমার কাছেও এটা স্বপ্নপূরণের মতোই। শিলিগুড়িতে যেভাবে আমাকে ওয়েলকাম করেছে, এখানে যেভাবে সকলে আমাকে ওয়েলকাম করেছে, আমার খুব ভাল লাগছে। এক্কেবারে স্বপ্নের মতেই লাগছে।”
চাপের মুখে ভাল খেলা প্রসঙ্গে রিচা
যখনই আমি নেটে ব্যাটিং করি, ওপেন নেটস করি তখন সবসময় টার্গেট সেট করি। ঠিক করি এই টাইমে কত রান লাগবে, সেই অনুযায়ী প্র্যাক্টিস করি। আর ওই প্র্যাক্টিস সেশন ম্যাচে সাহায্য করে।
অনেকে বলেন, আপনি বড় বড় ছয় মারেন। আর ড্রেসিংরুমে অনেকে আপনাকে ছোট মাহি বলে। এটা কি ঠিক? সঞ্চালকের এই প্রশ্নের উত্তরে রিচা বলেন, “হ্যাঁ দলে অনেকে আছে আমাকে এটা বলে। সকলে আমার ছয় ভালবাসে। আমারও ছয় মারতে ভাল লাগে। আরও জোরে ছয় মারতে ইচ্ছে করে।”
ধোনি প্রচুর দুধ খান, এমনটা অনেকেই বলেন। সঞ্চালক রিচাকে প্রশ্ন করেন তুমিও কি ধোনির মতো অনেক দুধ খাও? রিচা এর উত্তরে বলেন, “ছোটবেলায় খেতাম। কিন্তু ল্যাক্টোজ আছে বলে এখন খাই না।
বেশি ছয় মারার প্রস্তুতি কী?
বেশি করে প্র্যাক্টিস করি। বল ভাল করে চুজ করতে হয়। ঠিক মতো বল বাছাই করতে না পারলে সেটা জোরে যাবে না। তাই বল নির্বাচন অত্যন্ত ওটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি তাতে ফোকাস করি।
নিজেদের ঠান্ডা রাখতে কী করেন ভারতীয় মহিলা টিমের ক্রিকেটাররা?
আমার প্রেশার থাকলে ভাল লাগে। যত প্রেশার থাকে, আমি তত ভাল খেলি। আসলে আমি প্রেশার নিতে ভালবাসি। তবে সবসময় নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টাও করি। সিনেমা দেখি, আড্ডা মারি নিজেদের মধ্যে। আসলে আমরা ফোন থেকে দূরে থাকি।
বিশ্বকাপ জেতার পর ভারতের ড্রেসিংরুমে কী হয়েছে?
এই প্রশ্নের রিচা বলেন, ‘পার্টি হয়েছে। আমরা সারা রাত মজা করেছি।’
বিশ্বকাপ জয়ের সোনার মেডেলটা কোথায় থাকবে?
উত্তরে রিচার বলেন, ‘বাড়ির সবথেকে সামনে থাকবে সোনার মেডেলটা।’
