Daryl Mitchell: ছেলের খেলা দেখতে চাকরি ছেড়ে মাঠে বাবা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Prantik Deb

Nov 11, 2021 | 5:01 PM

"আমার মনে আছে, ছেলেবেলায় বাড়িতে বাবার সঙ্গে ক্রিকেট খেলার কথা। ভালো খেলতে না পারলেও বাবা ক্রিকেট খুব ভালোবাসেন। আমার আর আমার বোনের সব থেকে বড় সমর্থক বাবা।"

Daryl Mitchell: ছেলের খেলা দেখতে চাকরি ছেড়ে মাঠে বাবা
এক ছবিতে তিন প্রজন্ম। সৌ: টুইটার

Follow Us

আবু ধাবি: ছেলের খেলা দেখতে চান। তাই ছুটি চেয়েছিলেন দলের হেড কোচের কাছে। ঘটনা ২০২১ সালের শুরু দিকে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছেলের খেলা দেখতে মাঠে যাবেন। ইংল্যান্ডের (England) রাগবি দলের হেড কোচ এডি জোন্সের কাছে আবেদন করেছিলেন সহকারি কোচ জন মিচেল (John Mitchell)। কিন্তু পত্রপাট সেটা খারিজ করে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড রাগবি দলের কোচ জোন্স (Eddie jones)। বলেছিলেন, “না কোথাও যাওয়া হবে না। অনেক কাজ আছে।” হেড কোচের কথায় আঘাত পেয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরিটাই ছেড়ে দেবেন। সেটাই করলেন জন মিচেল। ইংল্যান্ড রাগবি দলের সহকারি কোচের পদ ছেড়ে পৌঁছে গেলেন লেন্সবেরি ক্লাবের মাঠে। সেখানেই খেলছিলেন তাঁর ছেলে। সেদিন ছেলের খেলা দেখেছিলেন। যেমন দেখলেন বুধবার, আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। বাবা জন মিচেল। ছেলে ড্যারেল মিচেল (Daryl Mitchell)। নিউজিল্যান্ডের নতুন তারকা। যাঁর অপরাজিত ৭২ রানে ভর করে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। মজার বিষয়, যে ইংল্যান্ড দলের কোচের পদ ছেড়ে এসেছিলেন, সেই ইংল্যান্ডকেই বিশ্বকাপ থেকে ছুটি করে দিল তাঁর ছেলের ব্যাট।

ছেলে ড্যারেল মিচেলের মতোই জন মিচেলও নিউজিল্যান্ডের একজন পরিচিত খেলোয়াড়। তবে তিনি ছিলেন রাগবির জগতে। জাতীয় দলের হয়ে বাবার খেলতে না পারার জ্বালাটা মেটাচ্ছেন ছেলে ড্যারেল। তিনি রাগবিতে ছিলেন বলে ছেলেকেও রাগবি খেলতে বাধ্য করার মতো বাবা নন জন মিচেল। বরং ছেলে যখন ক্রিকেটকে নিজের ভবিষ্যত্‍ হিসেবে বেছে নেন, বাবা সব সময় সেটাকে সমর্থন করে এসেছেন। এক ইন্টারভিউয়ে বাবা জন সম্পর্কে ড্যারেল বলেছিলেন, “আমার মনে আছে, ছেলেবেলায় বাড়িতে বাবার সঙ্গে ক্রিকেট খেলার কথা। ভালো খেলতে না পারলেও বাবা ক্রিকেট খুব ভালোবাসেন। আমার আর আমার বোনের সব থেকে বড় সমর্থক বাবা।”

আর একটা ম্যাচ। সেটা জিততে পারলেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তাজ উঠবে নিউজিল্যান্ডের মাথায়। বছরের শুরুতে টেস্টের বিশ্বসেরা দল হয়েছে কিউয়িরা। এ বার ক্রিকেটের সব থেকে ছোট ফরম্যাটে সেরার সেরা হওয়ার হাতছানি। তাদের দলে তথাকথিত তারকা নেই। কিন্তু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার মানসিকতা আছে। যার জোরেই ক্রিকেট বিশ্বের নতুন শক্তি হয়ে উঠেছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ড্যারেল মিচেলও তেমনই একজন ক্রিকেটার। যাঁর নামের পাশে তারকার স্ট্যাটাস নেই। কিন্তু আছে স্বপ্ন দেখার সাহস। যে সাহসে ভর করেই শেষ তিন ওভারে ৫৭ রান তুলে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট কেটেছেন ড্যারেল মিচেলরা।

 

আরও পড়ুন : Indian Cricket: দ্রাবিড়ের পরামর্শ শুনছে না উপদেষ্টা কমিটি!

Next Article