Mohammad Azharuddin: ১০ বছর দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এই পেলাম… স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন

ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ছেড়ে কথা বলছেন না আজহার। জানিয়েছেন, আইনি লড়াইয়ে যাবেন তিনি।

Mohammad Azharuddin: ১০ বছর দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এই পেলাম... স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন
স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ অস্বীকার করলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিনImage Credit source: PTI FILE

Apr 20, 2025 | 4:18 PM

আইপিএলের (IPL) মাঝে বড় ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন (Mohammad Azharuddin)। হায়দরাবাদের উপ্পলের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ড থেকে নাম সরিয়ে ফেলা হবে তাঁর। এই খবর চাউর হতেই ক্রিকেট বিশ্বে শোরগোল। নর্থ প্যাভিলিয়ান স্ট্যান্ড থেকে আজহারউদ্দিনের নাম সরিয়ে ফেলার আদেশ পেয়েছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সঙ্গে বলা হয়েছে, ওই স্ট্যান্ডের টিকিটেও আজহারের নাম ছাপানো যাবে না। ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ছেড়ে কথা বলছেন না আজহার। জানিয়েছেন, আইনি লড়াইয়ে যাবেন তিনি।

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লর্ডস ক্রিকেট ক্লাব একটি অভিযোগ দায়ের করে। দাবি ছিল যেন নর্থ প্যাভিলিয়ান স্ট্যান্ড থেকে আজহারউদ্দিনের নাম সরানো হয়। সেই মর্মেই আজহারের নাম স্ট্যান্ড থেকে সরানোর আদেশ দিয়েছেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার এথিক্স অফিসার ও অম্বুডস্‌ম্যান বিচারপতি ভি ঈশ্বরাইয়া।

২০১২ সালে ভিভিএস লক্ষ্মণের অবসরের পর থেকে গ্যালারির ওই অংশের নামকরণ তাঁর নামে করা হয়। ২০১৯ সালে আজহারউদ্দিন হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হলে স্ট্যান্ডটির নামকরণ করা হয় তাঁর নামে। স্টেডিয়ামে ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমের সামনে লক্ষ্মণের ছবি লাগানো ছিল। সেটিকেও সরিয়ে ফেলে আজহারের ছবি লাগানো হয়। বিষয়টিকে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি অনেক সদস্যই। ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, স্বার্থের সংঘাতের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এরপরই এই শোরগোল নিয়ে মুখ খুলেছেন আজহারও। অভিযোগ অস্বীকার করে আজহার বলেছেন, ‘স্বার্থের সংঘাতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছি। ১০ বছর দেশের অধিনায়ক ছিলাম। তারপরে আমি এই পেলাম। এ ভাবেই কি হায়দরাবাদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়? সবাই দেখলে হাসবে। হাইকোর্টে যাব। আদালত ঠিক করবে কী হবে।’