কলকাতা: ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) প্রাক্তন এক নম্বর ওডিআই বোলার লনওয়াবো সোতসোবে (Lonwabo Tsotsobe)। অবশ্য তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও ২ প্রোটিয়া প্রাক্তনীকে একই কারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হলেন থামি সোলেকিলে (Thami Tsolekile) ও এথি এমভালাতি (Ethy Mbhalati)।
ধারা ১৫ অনুযায়ী, লনওয়াবো সোতসোবে, থামি সোলেকিলে , এথি এমভালাতির বিরুদ্ধে পাঁচ রকম দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৫-১৬ সালে রাম স্ল্যাম টি-২০ চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে গড়াপেটায় ৭জন ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এই তিনজন ক্রিকেটারও।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই তিন ক্রিকেটার ২০১৫-১৬ সালে ম্যাচ ম্যানিপুলেশনের জন্য সায় দিয়েছিলেন। এবং তাঁরা ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবও গ্রহণ করেছিলেন। ডিপিসিআইয়ের পক্ষ থেকে তদন্তের পর তেমনটাই জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে যদিও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা জানায়, যে তিনটি ম্যাচে গড়াপেটার চেষ্টা করেছিলেন ওই তিন ক্রিকেটার, তাতে তাঁরা সফল হননি।
যে ৭ ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করেছিল ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা, তাঁদের মধ্যে ছিলেন গুলাম বোদি। যিনি ৭ বার সংশোধনাগারে গিয়েছেন। এ ছাড়া জিন সিমসও এই তালিকায় রয়েছেন। ২০২১ সালের মে মাসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। চার বছরের কারাদণ্ড পেয়েছিলেন (পাঁচ বছরের জন্য সম্পূর্ণ স্থগিত)। অপর প্রোটিয়া ক্রিকেটার পুমি মাতশিকওয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই ধরনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং ছয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন (পাঁচ বছরের জন্য সম্পূর্ণ স্থগিত)।
২০১৫-১৬ সালে রাম স্ল্যাম টি-২০ চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে গড়াপেটায় ৭জন ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করেছিল ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা তাঁদের মধ্যে সপ্তম প্লেয়ার আলভিরো পিটারসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। ওই ৭জন ক্রিকেটারের সকলকে দুই থেকে ১২ বছরের জন্য যেকোনও ক্রিকেটীয় কার্যকলাপ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সোতসোবে, সোলেকিলে এবং এমভালাতির বিরুদ্ধে এই মামলা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি অবধি স্থগিত রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া জারি রয়েছে।