
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে নানা আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। তেমনই নানা এমন মুহূর্তও, যেগুলো প্রবল বিতর্ক তৈরি করেছিল। এমন প্রসঙ্গ উঠলে স্ল্যাপগেট কাণ্ডের কথাও বলতে হয়। জাতীয় দলে সতীর্থ হলেও আইপিএলে অনেক ক্রিকেটারই প্রতিপক্ষ। মাঠে নামার পর নিজের দলের জন্য জয়ের তাগিদ। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধুত্ব ভুলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে সবটাই ম্যাচের সময়টুকুতেই। ম্যাচ শেষ হলে আবার সকলেই বন্ধু। কিন্তু কিছু ঘটনা মিটেও মিটতে চায় না। সারাজীবন তার জন্য় আক্ষেপ, অপরাধবোধ কাজ করতে থাকে। হরভজন সিংয়ের পরিস্থিতিও যেন অনেকটা তেমনই।
সারা বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। গ্ল্যামার এবং বিনোদনের ক্রিকেট। বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলের সাপ্লাই লাইনও। বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। উদ্বোধনী সংস্করণেই একটি ঘটনা সাড়া ফেলেছিল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলছিলেন হরভজন সিং। অন্য দিকে, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) টিমে ছিলেন শান্তাকুমারণ শ্রীসন্থ। জাতীয় দলের সতীর্থ, আইপিএলে ছিলেন প্রতিপক্ষ। একটি ম্যাচে শ্রীসন্থকে চড় মেরেছিলেন। হরভজন সিং সিনিয়র। স্বাভাবিক ভাবেই দাদার মতো এক সতীর্থর থেকে এমন আচরণ হতাশ করেছিল।
পরবর্তীতে এই ঘটনা নিয়ে অনেক বার ক্ষমাও চেয়েছেন হরভজন সিং। সকলে সব কিছু ভুলেও গিয়েছেন বলা যায়। শ্রীসন্থের সঙ্গে সম্পর্কও দুর্দান্ত ভাজ্জির। কিন্তু শ্রীসন্থের কন্যা সেই ঘটনায় হরভজন সিংকে ‘ক্ষমা’ করতে পারেনি। যে কারণে কথাই বলতে নারাজ! যে কারণে হরভজন সিংয়েরও মন খারাপ।
ভারতের আর এক প্রাক্তন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে সেই দুঃখের কথা তুলে ধরেছেন হরভজন সিং। সেখানেই জানান, শ্রীসন্থের কন্যার সঙ্গে যখন তাঁর দেখা হয়েছিল, মিষ্টি করে ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলে ভাজ্জি। যদিও শ্রীসন্থ কন্যা সটান প্রশ্ন করেছিল, ‘আমার বাবাকে কেন চড় মেরেছিলে? আমি তোমার সঙ্গে কথা বলব না।’ ছোট্ট মেয়ের এই কথা হরভজনের কষ্ট আরও বাড়িয়েছে। হতাশ হয়ে অশ্বিনকে এও বলেন, যখনই সুযোগ পেয়েছেন, ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু এখনও অপরাধবোধে ভোগেন হরভজন সিং।