
ফুটবল আর বাঙালি যেন একে অপরের দোসর! বাঙালি যে পেশাতেই যুক্ত থাকুন না কেন, তাঁদের রক্তে থাকে ফুটবল। ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ফুটবল প্রেম তাঁর অনুরাগীদের অজানা নয়। কলেজে পড়ার সময় মহারাজের পছন্দ ছিল ফুটবল। তিনি নিয়মিত ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ম্যাচ দেখতেন। পরবর্তীতে সৌরভ ফুটবল প্রশাসনেও যুক্ত হয়েছিলেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ক্রিকেট প্রশাসনে আসার পর স্বার্থের সংঘাতের কারণে তিনি সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। কলকাতার দুই প্রধান ইস্ট-মোহনের কথা উঠলেই চিংড়ি ও ইলিশের প্রসঙ্গ আসতে বাধ্য। মহারাজের কোনটা পছন্দ জানেন?
ময়দানে ডার্বি মানেই ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকদের সেন্টিমেন্টের লড়াই। ইলিশ-চিংড়ির লড়াই। বাঙাল-ঘটির আবেগের লড়াই। লাল-হলুদের আবেগ ইলিশকে ঘিরে। আর সবুজ-মেরুনের আবেগ চিংড়িকে কেন্দ্র করে। ডার্বির দিন যে কারণে, দুই দলের সাপোর্টারদের মধ্যে ইলিশ-চিংড়ি যুদ্ধ লেগে যায়।
ইস্ট-মোহন দুই দলকেই মহারাজ যেমন পছন্দ করেন, তেমনই চিংড়ি ও ইলিশ দুটিই পছন্দ সৌরভের। সম্প্রতি খাবারের চ্যানেলে সৌরভের স্পেশাল রেসিপি নিয়ে এক শো হয়েছে। সেখানে সেলিব্রিটি শেফ সনজ্যোৎ কীরের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন মহারাজ। সেখানেই সৌরভকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর প্রিয় মাছ কী? উত্তরে তিনি বলেন, ‘ইলিশ। চিংড়ি, কাঁকড়াও আমার ভীষণ প্রিয়। কলকাতা তো নদীর কাছেই। তাই আমরা চিংড়ি, কাঁকড়া ছেলেবেলায় সহজেই পেতাম। চিংড়ি মাছের মালাইকারি ভীষণ ভালো লাগে।’
এ ছাড়াও ছেলেবেলায় মহারাজ কেমন খাবার খেতেন? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাঙালি খাবার ভাত, ডাল, পোস্ত। আমাদের ডায়েটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল মাছ।’ এরপরই সৌরভ বলেন, ‘খাবার মানসিক দিক থেকে মানুষকে খুশি রাখে। যে সময় কোনও ব্যক্তির জীবনে খাওয়া দাওয়াতে কোনও বাধানিষেধ থাকে না, সেই সময়টা জীবনের সবচেয়ে ভালো। কারণ, ভালো খাবার মানুষকে ভালো বোধ করায়।’