IPL 2022: কলকাতা-চেন্নাই ম্যাচের আগেই জঙ্গি নাশকতার ছক আইপিএলে
বোর্ডের এক কর্তা বলেন, 'এই খবর সবসময়ই চিন্তার। কোভিডের সময় এমনিতেই মাঠের থেকে বাকিদের দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ম্যাচের দিনগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য আবেদনও করেছি। আশা করি, দ্বিতীয়বার আর এ রকম ঘটনা হবে না। একটা ঘটনা পুরো টুর্নামেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে।'
মুম্বই: শনিবার থেকে শুরু আইপিএল (IPL)। ওয়াংখেড়েতে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) আর চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। আর আইপিএলের প্রথম ম্যাচের আগেই জঙ্গি নাশকতার ছক। বৃহস্পতিবারই ২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করল মুম্বইয়ের সন্ত্রাসদমন শাখা। কলকাতা নাইট রাইডার্স আর চেন্নাই সুপার কিংসের টিম হোটেল আর স্টেডিয়ামে বাড়ান হল নিরাপত্তা। হোটেল থেকে স্টেডিয়ামের পথে হামলা চালানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। আর সেই খবর পেয়েই জঙ্গি উদ্ধারে আসরে নামে মুম্বই এটিএস। যদিও ধৃত সেই ২ জঙ্গির নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। জঙ্গি নাশকতা রুখতে আরও কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা। হোটেল থেকে স্টেডিয়ামের পথে প্যারা মিলিটারি ফোর্সও বাড়ান হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তারক্ষীদের আড়ালেই হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন ক্রিকেটাররা।
হোটেল থেকে স্টেডিয়ামের রাস্তায় কোনও অচেনা গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। টুর্নামেন্ট চলাকালীন বম্ব স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম এবং অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্সও থাকবে। জঙ্গি আশঙ্কার খবর আইপিএলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। দেশ-বিদেশের অসংখ্য ক্রিকেটার এর সঙ্গে জড়িয়ে। আইপিএলের আসরকে যদি জঙ্গি হানার জন্য বেছে নেওয়া হয়, ভারত সরকার তো বটেই ক্রিকেটের কাছেও জোড়ালো ধাক্কা হবে। সেটাই দিতে চেয়েছিল ওই জঙ্গি সংগঠন। ভারতীয় গোয়েন্দাদের তৎপরতায় অপ্রত্যাশিত ঘটনার হাত থেকে জোর বাঁচল আইপিএল। শুধু উদ্বোধনী ম্যাচ নয়, বাকি টুর্নামেন্টেও নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি থাকবে।
বোর্ডের এক কর্তা বলেন, ‘এই খবর সবসময়ই চিন্তার। কোভিডের সময় এমনিতেই মাঠের থেকে বাকিদের দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ম্যাচের দিনগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য আবেদনও করেছি। আশা করি, দ্বিতীয়বার আর এ রকম ঘটনা হবে না। একটা ঘটনা পুরো টুর্নামেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে।’
মহারাষ্ট্রের চারটে ভেনুতে আইপিএলের ৭০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে ২০ আর ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে ২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে ১৫ আর পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার মাঠে ১৫ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।