Ishan Kishan: রানের খিদে প্রবল, সুযোগ পেলেই… অজি সফরে গিয়ে অকপট ঈশান কিষাণ
একটা সময় ছিল ভারতের সকল স্কোয়াডে ঈশান কিষাণের নাম দেখা যেত। এরপর ছবিটা বদলে যায়। বোর্ডের নির্দেশ না মেনে বিরাগভাজন হন ঈশান। বাদ পড়েন বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তি থেকে। এ বছর আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন। এ বার তাঁকে ইন্ডিয়া-এ দলের হয়ে অ্যাকশনে দেখা যাবে।
কলকাতা: বিসিসিআই দিয়েছিল তাঁকে ‘অবাধ্য’ তকমা। হঠাৎ করেই তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে উঠেছিল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। সেই তিনি এখন রয়েছেন ডনের দেশে। দীর্ঘদিন পর ফিরেছেন ভারতীয় টিমে। কথা হচ্ছে ঈশান কিষাণকে (Ishan Kishan) নিয়ে। ভারত-এ টিমের অজি সফরের অংশ ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপার ব্যাটার। তিনি সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, তাঁর রানের খিদে বেড়েছে। সুযোগ পেলেই সদ্ব্যবহার করবেন। আর কী কী বললেন ঈশান?
ভারতীয় স্কোয়াডে নিজের নাম দেখে অভ্যস্ত তিনি। এ বার ভারত-এ স্কোয়াডে নিজের নাম দেখার পর কেমন অনুভূতি হয়েছে ঈশানের? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতিটা অসাধারণ। এই সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। এই সফরে গিয়ে ভালো পারফর্ম করতে চাই। এই সফরে অনেক ভালো প্লেয়ার রয়েছে। ওদের সঙ্গে ভালো খেলতে চাই। নিজের নাম আবার স্কোয়াডে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। সবকিছু ঠিক পথে চলছে দেখে ভালো লাগছে।’
একটা সময় ছিল ভারতের সকল স্কোয়াডে ঈশান কিষাণের নাম দেখা যেত। এরপর ছবিটা বদলে যায়। বোর্ডের নির্দেশ না মেনে বিরাগভাজন হন ঈশান। বাদ পড়েন বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তি থেকে। এ বছর আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন। এ বার তাঁকে ইন্ডিয়া-এ দলের হয়ে অ্যাকশনে দেখা যাবে। এই যে সময়টা ২২ গজ থেকে দূরে ছিলেন ঈশান তখন তাঁৎ মনে কী ঘুরছিল? তিনি বলেন, ‘আমি এমন একজন যে দলের হয়ে পারফর্ম করতে ভালোবাসি। খুশি থাকা পছন্দ করি। আশেপাশের মানুষদের সাহায্য করা পছন্দ করি। যখন অতীতে ফিরি, আর নিজের নাম সব স্কোয়াডে দেখি, তখন আমার ভালো লাগে। আমার মনে হয় দলের জন্য আরও ভালো কিছু করা দরকার। আমি কখনওই পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম না। আমি সব সময় আরও ভালো পারফর্ম করার কথা ভাবতাম। মনে সেটাই থাকত। আমি তখনও খুশি ছিলাম। এখনও খুশি আমি।’
এই খবরটিও পড়ুন
রানের খিদেটা ঈশানের বেড়ে গিয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় খিদেটা গুরুত্বপূর্ণ। এই খিদেটা আসে যখন কেউ বিশ্রাম নেয়। যখন কেউ কোনও ম্যাচ খেলতে পায় না। সেই সময় খিদেটা শুরু হয়। এরপর মাঠে নামলে ব্যাটাররা দারুণ কিছু করার চেষ্টা করে। আমি সেটাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তবে এখন যা হচ্ছে, তার জন্য আমি খুশি। রানের খিদেটা আমার এখন প্রবল। আমি জানি সুযোগ পেলেই বোলারদের চাপে ফেলব। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার খিদে আমার প্রবল। যখন কেউ দলে ফিরে আসে, আমি জানি টিম মিটিংয়ে কী হয়। আমি সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগাব, এটুকু নিশ্চিত।’