গুরুগ্রাম: বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছেই না। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বনাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ইস্যুতে সরগরম ভারতীয় ক্রিকেট। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সৌরভ আর বিরাট ভক্তরা একে অপরকে খোঁচা মারতে ছাড়ছেন না। বিরাট-সৌরভ ইস্যুকে কেন্দ্র করে দু’ভাগ ক্রিকেটমহল। এরই মধ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। ভারতের টেস্ট অধিনায়ককে ঝগড়ুটে বললেন বিসিসিআই সভাপতি।
গতকালই গুরুগ্রামে (Gurgaon) একটি ইভেন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন ক্রিকেটারের মনোভাব তাঁর ভালো লাগে? সৌরভের উত্তর, ‘বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মনোভাব আমার ভালো লাগে কিন্তু ও প্রচন্ড ঝগড়া করে।’ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের এমনই খবর।
সৌরভের এমন উত্তরে আবারও নতুন বিতর্কের যে জন্ম হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রয়েছেন কোহলিরা। তার মাঝেই গুরুগ্রামে এক প্রোমোশনাল ইভেন্টে সৌরভের এমন উত্তর। বিরাট কোহলি বনাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিতর্কের সূত্রপাত, কয়েক মাস আগে থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই ২০ ওভারের ফরম্যাটে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা করেন কোহলি। তিনি বলেন, বিশ্বকাপের পর আর কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন্সি করবেন না। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তাঁরা টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করার জন্য বিরাটকে অনুরোধ করেন, কিন্তু তিনি তা শোনেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল বাছাইয়ের দিনই রোহিত শর্মাকে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সরকারি ঘোষণা করে বোর্ড। যার যুক্তিতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, সাদা বলের ক্রিকেটে একজন অধিনায়ক আর লাল বলের ক্রিকেটে আর একজনকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এছাড়াও তিনি যোগ করে বলেন, একদিনের ক্রিকেটে নেতৃত্ব নিয়ে কোহলিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল বোর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে উড়ে যাওয়ার আগে বোর্ড প্রেসিডেন্টের সমস্ত মন্তব্যকে নস্যাত্ করে কোহলি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার সময় বোর্ড আমাকে কোনও অনুরোধ করেনি। বরং সাদরে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। প্রোটিয়া সফরে দল নির্বাচনের দেড় ঘণ্টা আগে আমি জানতে পারি, একদিনের ক্রিকেটে আমার নেতৃত্ব আর থাকছে না। আমি তার উত্তরে বলি, ঠিক আছে।’ এরপরই সরগরম হয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেট। কে ঠিক আর কে ভুল তা নিয়ে চর্চা এখনও চলছে। বোর্ড আর অধিনায়কের মন্তব্যের মধ্যে স্বচ্ছতা আনার দাবি তুলছেন অনেক প্রাক্তনীরা। তারই মাঝে বোর্ড প্রেসিডেন্টের এই ‘বিরাট’ উক্তি আবার নতুন বিতর্কের জন্ম দিল।
আরও পড়ুন: ম্যান সিটির জার্সিতে বিরাট, পাঞ্জাবিতে গুয়ার্দিওলার দলকে দিলেন বিশেষ বার্তা