
মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে আজ ছিল ভারত-পাকিস্তান। গত তিন রবিবার এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) মঞ্চে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে রেকর্ড নবম বার এশিয়া কাপ ট্রফি জিতেছে ভারত। সূর্যকুমার যাদবদের (Suryakumar Yadav) পর এ বার পালা ছিল হরমনপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur) নেতৃত্বাধীন টিমের। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ (ICC Women’s ODI World Cup 2025) অভিযান শুরু করেছিল ভারত (Team India)। পাকিস্তানের (Pakistan Cricket Team) বিরুদ্ধেও জয়ের ধারা জারি। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে এর আগে ১১ বারের সাক্ষাতে পাকিস্তানকে সব ম্যাচেই হারিয়েছিল ভারত। এ দিন ৮৮ রানের জয়ে স্কোর লাইন ১২-০ করলেন হরমনপ্রীতরা। তেমনই ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে ৫-০। মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচের সমস্ত আপডেট পাবেন এই লিঙ্কে।
ম্যাচের আগেই ভারতীয় পুরুষ টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তান মেয়েদের ম্যাচেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা এক তরফা। রাইভালরি বলতে রাজি নন। ভারত সহজেই জিতবে, বলেছিলেন স্কাই। টানা চার রবিবার পাকিস্তানকে হারাল ভারত। ৮৮ রানের বিশাল জয়। জোড়া জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান জারি ভারতের। ম্যাচ রিপোর্ট বিস্তারিত পড়ুন: টানা চার রবিবার, ভারতের কাছে পাকিস্তানের হার
ধৈর্যশীল ব্যাটিং করছিলেন। একঝাঁক জীবন পেয়েছেন। অবশেষে সিদরা আমিনকে ফেরালেন স্নেহ রানা। শর্ট স্কোয়ার লেগে ক্যাচ ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌরের। ১০৬ বলে ৮১ রানে ফিরলেন আমিন। হরমনপ্রীতের প্রশংসনীয় ক্যাচ। ভারতের চাই আর ২ উইকেট।
পরপর উইকেট। স্নেহ রানা ফুলটসে ফিরিয়েছিলেন সিদরা নওয়াজকে। পরের ওভারেই দীপ্তির শিকার শামিম। প্যাডল সুইপ খেলার চেষ্টায় ক্লিন বোল্ড। ভারতের চাই আর তিন উইকেট।
ফুলটস ডেলিভারি অফস্পিনার স্নেহ রানার। পাকিস্তানের কিপার ব্যাটার সোজা খেলবেন, কে জানত! একেবারে বোলার স্নেহ রানার হাতেই দিলেন বল। ফুলটসে লাকি উইকেট স্নেহ রানার। ভারতের চাই আর চার উইকেট।
অনবদ্য বোলিং ক্রান্তি গৌড়ের। কেরিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম খেলার অভিজ্ঞতা। ১০ ওভারের মধ্যে ৩টি মেডেন! মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন পেসার ক্রান্তি গৌড়। ক্যাচ না মিস হলে উইকেট সংখ্যা বাড়তে পারত।
ভারতীয় স্পিনারদের বোলিং এই ম্যাচে হতাশা তৈরি করছিল। দীপ্তি শর্মা সেই অস্বস্তি কাটালেন। তাঁর বোলিংয়ে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন ফাতিমা সানা। স্মৃতি মান্ধানার ক্যাচ। ১০২ রানে পঞ্চম উইকেট পাকিস্তানের। এখনও ১৪৬ রান প্রয়োজন। ওভার প্রতি চাই ৭-র মতো।
দীর্ঘ সময় ধরেই উইকেটের খোঁজে ছিল ভারত। সিদরা আমিন ও নাতালিয়া পারভেজ জুটি মজবুত হচ্ছিল। আস্কিং রেট বাড়লেও জুটি ভাঙা জরুরি ছিল। ক্রান্তি গৌড় আক্রমণে এসেই ব্রেক থ্রু দিলেন। হাই ক্যাচ, রাধা যাদবের সেফ হ্যান্ডস, ফেরালেন নাতালিয়া পারভেজকে।
সিদরা আমিন এবং নাতালিয়া পারভেজে জুটিতে হাফসেঞ্চুরি পার। সাময়িক অস্বস্তিতে ভারতীয় শিবির। ব্রেক থ্রুর খোঁজে। বাকি ২৫ ওভারে এখনও ১৬৪ রান চাই পাকিস্তানের।
এর আগে ১১ বার ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। সব কটি ম্যাচই জিতেছে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২-০ করার দিকে এগোচ্ছে ভারতীয় দল। তবে পাকিস্তানের জন্য নৈতিক জয়। মেয়েদের ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রথম বার ভারতের বিরুদ্ধে ছয় মারল পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে রান তাড়ায় ১৭.৩ ওভারে স্নেহ রানার বোলিংয়ে ছয় মারেন সিদরা আমিন।
পাওয়ার প্লে শেষ। প্রথম দশ ওভারে ২৫ গজ সার্কেলের বাইরে মাত্র দু-জন ফিল্ডার। এতে পাকিস্তান তুলল মাত্র ২৫ রান। তাও ২ উইকেট হারিয়ে। ৪০ ওভারে ২২৩ চাই পাকিস্তানের।
রেগুলেশন ক্যাচ। রিচা ঘোষের থেকে অপ্রত্যাশিত। কিপিংয়ে বিশ্ব মাতানো রিচা রেগুলেশন ক্যাচ ফসকালেন। সুইংয়ের জন্য লেগ সাইডের দিকে আগেই ঝুঁকে থাকছেন। যে কারণে ব্যাটের আউট সাইড এজ লাগায় শেষ মুহূর্তে ডাইভ দিতে হল। রেনুকা সিং ঠাকুরের বোলিংয়ে উইকেট এল না।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানের মহম্মদ নওয়াজকে এ ভাবেই রান আউট করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। এ বার দীপ্তি শর্মা। কলম্বোয় বিশ্বকাপে ম্যাচে পাকিস্তানের ওপেনার মুনিবা আলি ব্যাট নন স্ট্রাইকার এন্ডে রেখে ফের তুলে নেন। তিনি ক্রিজের বাইরে। তারপর দীপ্তি শর্মার ডিরেক্ট থ্রো। থার্ড আম্পায়ার প্রথমে নটআউট দিয়েছিলেন। নিজেই ফের চেক করেন। বল ডেড না হওয়ায় আউট দেন। ঠিক যেন রোহিতের স্টাম্প মাইক মনে পড়ে, গার্ডেন মে নেহি ঘুমনেকা!
জোড়া স্লিপ নিয়ে বোলিং। টার্গেট ২৪৮। ভারতের বিরুদ্ধে মিশন ইমপসিবল পাকিস্তানের। দুই ওপেনারকে সুইংয়ে নাচাচ্ছেন বলা যায়। ভারতের দুই পেসার রেনুকা সিং ঠাকুর এবং ক্রান্তি গৌড়। প্রথম চার ওভারে মাত্র ৬ রান।
ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে কখনও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল। মুখোমুখি সাক্ষাতে ১১-০ এগিয়ে ভারত। শুধু তাই নয়, ওডিআইতে ২৪৩-র বেশি তাড়া করে জেতারও রেকর্ড নেই। ভারত ২৪৮ রানের টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তানকে। সব মিলিয়ে তাদের কাছে মিশন ইমপসিবল বলাই যায়।
শেষ দু-বলে দু-উইকেট। ২৪৭ রানে অলআউট ভারত। ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রথম বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অলআউট হল ভারত। রিচা ঘোষ মাত্র ২০টি ডেলিভারি খেলার সুযোগ পেলেন। করলেন ৩৫ রান। স্ট্রাইক রেট ১৭৫! দুটি ওভার বাউন্ডারি এবং তিনটি বাউন্ডারি রিচার। পাকিস্তান ২৪৩-এর বেশি কখনও তাড়া করে জেতেনি। ফলে ভারতের দেওয়া ২৪৮ রানের টার্গেট যথেষ্ট বলা যায়।
রিচা ঘোষের সৌজন্যে আগের ওভারে ১৩ রান এসেছে। স্ট্রাইক ছিল তাঁর কাছেই। নতুন ওভারের প্রথম বলে দুর্দান্ত ড্রাইভ। যদিও এক রানই আসে। স্ট্রাইকে আসেন শ্রী চরণী। স্ট্রাইক দিতে হত রিচাকে। উইকেট উপহার দিলেন। ক্রান্তি গৌড় নেমেই বাউন্ডারি। এখান থেকে ২৫০-র স্বপ্ন দেখছে ভারত।
রিচা ঘোষের আগে স্নেহ রানাকে পাঠানো হয়। সেট হয়ে ফেরেন। দীপ্তি শর্মার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রিচা। অপেক্ষা ছিল সেট ব্যাটারের সঙ্গে চাপমুক্ত হয়ে শট খেলতে পারবেন রিচা। কিন্তু অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে ফিরলেন দীপ্তি। স্ট্রাইক পেতেই সমস্যা রিচার। সঙ্গীর অভাবও বলা যায়। বোলারদের সঙ্গে ব্যাটিং করার চ্যালেঞ্জ রিচার সামনে।
স্লগ ওভার অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। ভারতের স্লগ শুরু হল ৬ ওভার বাকি থাকতে। বাউন্ডারিতে ৪৫ তম ওভার শুরু করেন স্নেহ রানা। গত ম্যাচে ভালো খেলেছিলেন। ব্যাটিংয়ে তাই রিচা ঘোষের আগে পাঠানো হয়। যদিও ৩৩ বলে ফিরলেন মাত্র ২০ রান করে। স্ট্রাইকরেট হতাশার। ক্রিজে অবশেষে রিচা ঘোষ।
বাউন্ডারি আসছে না, তেমনই স্ট্রাইক রোটেটেও সমস্যা। দশ ওভার বাকি। গত দশ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৬ রান তুলেছে ভারত। দীপ্তি ও স্নেহ ক্রিজে। রানের গতি না বাড়ালে সমস্যা বাড়বে। ডাগআউটে ওয়েটিংয়ে পাওয়ার হিটার রিচা ঘোষ।
সেট হয়েছিলেন জেমিমা। একবার জীবনও পেয়েছিলেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু মাঠে পোকার কারণে ১৫ মিনিটের ব্রেক নেওয়া হয়। এরপর সুইপ খেলতে গিয়ে আউট। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। তবে রিভিউ নেয় পাকিস্তান। সাফল্যও মেলে। ক্রিজে এলেন স্নেহ রানা। ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন পেলেন স্নেহ। রিচা এখনও ডাগআউটেই।
দীর্ঘ সময় ধরেই মশার মতো পোকা সমস্যা তৈরি করছিল। বোলার-ব্যাটার, ফিল্ডার সকলের কাছেই সমস্যা। মনসংযোগেও ব্যাঘাত ঘটেছে ব্যাটারদের। স্প্রে করার জন্য সকলকে মাঠের বাইরে বেরোতে হয়। মাঠকর্মীরা কাজ করলেন। যদিও রেজাল্ট মিলল মা। বিরতির পর খেলা শুরু। ক্রিজে জেমিমা ও দীপ্তি শর্মা।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচ। ফের ৪০-র ঘরে ফিরলেন হরলীন দেওল। বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন। ব্যাট ঘুরে যায়। প্রত্যাশিত জায়গায় শট গেল না। লং অনে ক্যাচ। ৪৬ রানে ফিরলেন হরলীন দেওল। ক্রিজে গত ম্যাচের নায়ক দীপ্তি শর্মা।
ডায়না বেইগের বোলিংয়ে কটবিহাইন্ড হয়েছিলেন জেমিমা। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটা শুরু করেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নো বলের সাইরেন। উইকেটের বদলে ফ্রি-হিট পায় ভারত। বাউন্ডারি মারেন জেমি।
দীর্ঘ সময় ধরেই অস্বস্তিতে ছিলেন ভারতের দুই ব্যাটার। মুখের সামনে অনেকক্ষণ ধরেই মশার মতো একঝাঁক পোকা ঘুরছিল। আম্পায়ারকেও জানানো হয়। স্প্রে-র ব্যবস্থা করে ভারতীয় শিবির। হরমনপ্রীতের মনোসংযোগে ব্যাঘাত। লেগ সাইডে অনেকটা বাইরের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হরমনপ্রীত কৌর।
হলরীন দেওল ও হরমনপ্রীত কৌর। হর-হর মজবুত জুটি। দলীয় স্কোর সেঞ্চুরি পার ভারতের। বাউন্ডারির পাশাপাশি সিঙ্গল-ডাবলও আসছে। রান রেটও কিছুটা হলেও বেডেছে।
দীর্ঘ সময় বাউন্ডারি আসছিল না। অবশেষে স্কোয়ার কাটে দুরন্ত একটি বাউন্ডারি মারেন ওপেনার প্রতিকা রাওয়াল। যদিও জায়গা বানিয়ে ফের কাট শট মারতে গিয়ে মিস। ক্লিন বোল্ড প্রতিকা। দুই ওপেনারকেই হারাল ভারত। পাওয়ার প্লে-তেই স্মৃতির উইকেট পড়েছিল। প্রতিকা ফিরলেন ৩৭ বলে ৩১ রান করে।
স্পিন আক্রমণ। স্ট্রাইক রোটেট করতে সমস্যায় পড়ছেন প্রতিকা রাওয়াল ও হরলীন দেওয়ল। প্রচুর ডট বল। গ্যাপ বের করে রানের গতি বাড়ানোই পরবর্তী লক্ষ্য।
প্রথম পাওয়ার প্লে অর্থাৎ ১০ ওভারের খেলা শেষ। স্মৃতি মান্ধানার উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান তুলে নিয়েছে ভারত। শুরুটা দুর্দান্ত বলা যায়। সেট ব্যাটার প্রতিকার সঙ্গে ক্রিজে হরলীন। গত ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিলেন হরলীন।
হতাশার উইকেট। সেট হয়েছিলেন স্মৃতি মান্ধানা। লেগ বিফোর হলেন প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেন ফাতিমা সানার বোলিংয়ে। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল বল লেগ স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছে। ডিআরএস নেন স্মৃতি। যদিও দেখা যায়, বল লাইনেই। ৩২ বলে ২৩ রানে ফিরলেন ভারতের ভাইস ক্যাপ্টেন। ক্রিজে হরলীন।
প্রথম ওভারে বাঁ হাতি স্পিনারের বোলিংয়ে ৮ রান তুলেছিল ভারত। দ্বিতীয় ওভারে পেসারের বোলিংয়ে ১২। প্রথম ২ ওভারেই ২০ রান ভারতের। বাঁ হাতি স্পিনারকে সরিয়ে ক্যাপ্টেন ফাতিমা সানা নিজে এলেন বোলিংয়ে। দু-প্রান্ত থেকেই পেসার।
প্রতিকা রাওয়াল ও স্মৃতি মান্ধানা প্রস্তুত। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করছে ভারত। স্পিনে ইনিংস শুরু। ডাবল নিলেন প্রতিকা।
এশিয়া কাপের মতো বিশ্বকাপেও। পাকিস্তানের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে হাত মেলালেন না ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। এই ধারা বজায় থাকবে ম্যাচ শেষেও।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষাতে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন স্মৃতি মান্ধানা। কিন্তু এই মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় রান আসেনি স্মৃতির ব্যাটে। সার্বিক ভাবে গত ১০ ম্যাচে ৬০-র বেশি গড়ে রান করেছেন স্মৃতি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুইন হয়ে ওঠার অপেক্ষা স্মৃতির।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে সাময়িক ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়েছিল ভারত। দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়েছিলেন অমনজ্যোৎ। ফিটনেস সমস্যায় পাকিস্তান ম্যাচে নেই তিনি। পরিবর্তে পেসার রেনুকাকে নেওয়া হয়েছে। লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং কিছুটা দুর্বল হল। টপ ও মিডল অর্ডারের ভালো পারফর্ম করার চাপ বাড়ল ভারতের।
পাকিস্তানকে ফের ধুয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদব। হরমনপ্রীতদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাইভালরি প্রসঙ্গে নিজেই বললেন, ‘আবারও রাইভালরি প্রসঙ্গে বলতে চাই, এখানে যদি ৭-৪, কিংবা ৬-৫ হত, হয়তো বলা যেত। কিন্তু ১১-০ ভারতের পক্ষে। আমি আশা করি ভারত এটি ১২-০ করবে।’ পাশাপাশি তিনি বলছেন, স্মৃতি মান্ধানার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। স্মৃতি থেকে রিচা অবধি ব্যাটিং ঠিক হলে আর কোনও চিন্তা নেই, মনে করছেন স্কাই।
টসে হার। পাকিস্তান রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত জানালেন, অমনজ্যোতের পরিবর্তে পেসার রেনুকা সিং ঠাকুর একাদশে। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ভারত। ধারা বজায় রাখার পালা। পাকিস্তানের টার্গেট ভারতকে ২৫০-র নীচে আটকে রাখা। ভারতের টার্গেট? স্মৃতির পারফরম্যান্সে অনেক কিছু নির্ভর করবে।
ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মিতালি রাজ পিচ রিপোর্টে জানালেন, শুরুতে পেসারদের জন্য সুবিধা থাকবে। নতুন বল কাটিয়ে দিতে পারলেই ব্যাটারদের স্বর্গ। রেনুকা সিং ঠাকুরকে খেলাতে পারে ভারত।
পাকিস্তানের স্পিন বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। গত কয়েক ম্যাচেই স্পিন দাপট দেখা গিয়েছে। কলম্বোয় বোলারদের জন্য সুবিধা রয়েছে। তবে আবহাওয়া এখনও অবধি পেসারদের সাহায্য করার মতোই। ভারতের স্পিন আক্রমণও হেলাফেলার নয়। ম্যাচটি স্পিন বনাম ব্যাটিং হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কলম্বোয় মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। হরমনপ্রীত কৌর ও ফাতিমা সানার মস্তিষ্কের লড়াই। ভারতের কাছে পরিসংখ্যান ধরে রাখার মঞ্চ। পাকিস্তানের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর। কে করবে বাজিমাত? ম্যাচ প্রিভিউ বিস্তারিত পড়ুন: সাপ-বৃষ্টি ও পাকিস্তান, কলম্বোয় ভারতের অনেক প্রতিপক্ষ
বিশ্বকাপই শুধু নয়, মেয়েদের ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এখনও অবধি একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ১১ বার সাক্ষাৎ হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের। সব ম্যাচই জিতেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।
সুপার সান ডে। কলম্বোয় মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। টানা চার রবিবার বাইশগজে ভারত-পাক। যদিও বৃষ্টির ভ্রুকুটি প্রবল। এখনও অবধি কলম্বোয় স্বস্তির পরিবেশ। তবে মেঘ কিন্তু আশঙ্কায় রাখছেই। ম্যাচের সমস্ত আপডেটের জন্য নজর রাখুন এই পেজে।