
কলকাতা: চরম দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট। টিমের পারফরম্যান্স নেই। বোর্ডের অর্থও নেই। সব মিলিয়ে ধুঁকছে পাক ক্রিকেট। এখান থেকে কি পাক ক্রিকেটকে উদ্ধার করা সম্ভব? আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব সোনালি সময়? বহু দিন পর আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টের আয়োজক হিসেবে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্যায় পার করতে পারেননি বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানরা। পুরো টিমই যেন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যা দেখে প্রাক্তনরা সোচ্চার। দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটাররাও রাস্তা বাতলে দিচ্ছেন মুক্তির। কী সেই রাস্তা?
এই মুহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল টিমে কোনও স্থিতাবস্থা নেই। কোচ আসছে, যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে টিমের উপর। এক কোচের দর্শনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না খাওয়াতে তাঁকে বিদায় নিতে হচ্ছে। নতুন যিনি আসছেন, আবার নতুন করে তাঁর সিস্টেমের সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে বাবরদের। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে হচ্ছে অনেকের। আর সেখান থেকেই জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর দল থেকে বাদ পড়া পাক ক্রিকেটার সাউদ শাকিলকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি যদি পাকিস্তান ক্রিকেটের চেয়ারম্যান হন, কোন কাজটি সবার আগে করবেন? সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি সবার আগে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের তিন বছরের জন্য একটা স্থায়ী কোচ নিয়োগ করব। আমি পিসিবির চেয়ারম্যান পদে থাকি না থাকি, কোচকে ৩ বছর যাতে রাখা হয়, সেই ব্যবস্থা করব।”
গত কয়েক বছরে পিসিবির অন্দরে ক্ষমতার দখলের তুমুল লড়াইয়ের কারণে মর্নি মর্কেল, গ্যারি কার্স্টেন, জেসন গিলেসপির মতো অভিজ্ঞ কোচরা সরে গিয়েছেন। ঘনঘন কোচ বদলের ফলে বোর্ডের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। কোচ বারবার বদলাতে কি সাফল্য আসে? কেন পিসিবি ভারতীয় মডেল দেখে শেখে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ওই দেশেরই প্রাক্তনরা। তাতেও বোধোদয় হয়নি পিসিবির। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লজ্জার হার পাকিস্তানের। তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজেও ২-০ তে পিছিয়ে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচ ৫ এপ্রিল। ওয়ান ডে সিরিজে যদি হোয়াইটওয়াশ হয় টিম, তা হলে বিতর্ক আরও বাড়বে।