ভারতের অপেক্ষা বাড়ছিল। দিনের খেলার শুরু থেকে ভারতের লক্ষ্য ছিল দ্রুত বাংলাদেশের ৮ উইকেট নেওয়া। প্রাথমিক কাজটা শুরু করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাংলাদেশের ওপেনার শাদমান ইসলাম দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। হাফসেঞ্চুরিও করেন তিনি। অবশেষে আকাশ দীপের বোলিংয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের দুর্দান্ত ক্যাচ। উল্টোদিক থেকে এমনিতেই উইকেট পড়ছিল। শাদমানের উইকেটে আরও অস্বস্তিতে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু জাডেজার স্পেলের প্রথম তিন ওভারে যে খেল দেখালেন, তাতে কাঁপল কানপুর।
শাদমান ইসলাম এবং ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। বাংলাদেশ কোনওরকমে টিকে থাকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাঁ হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা আক্রমণে আসতেই খেলা ঘুরে গেল। ৩ ওভার ২টি মেডেন ৩ উইকেট। ৯১-৩ থেকে মুহূর্তের মধ্যেই ৯৪-৭! অবিশ্বাস্য ছাড়া আর কীই বা বলা যায়! রবীন্দ্র জাডেজা ধারাবাহিক একই লাইন লেন্থে বল করে যেতে পারেন। যা ব্যাটারদের অস্বস্তি বাড়ায়। তাঁদের ভুল করতে বাধ্য করে। সেটাই হল।
বাংলাদেশের কিংবদন্তি সাকিব আল হাসান সম্ভবত কেরিয়ারের শেষ টেস্ট ইনিংস খেলে ফেললেন। যাঁর সমাপ্তি হল ক্যাচিং প্র্যাক্টিস করিয়ে। রবীন্দ্র জাডেজার বোলিংয়ে তাঁর হাতেই ক্যাচ তুলে দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে তাঁর অনিশ্চয়তা রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে হাত তুলে নেওয়া হয়েছে। সাকিব দেশে ফিরলে গ্রেফতারও হতে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছে। ফলে ঘরের মাঠে টেস্ট খেলে বিদায় জানানোর স্বপ্নপূরণ আপাতত স্বপ্নই। কানপুরে শেষ ইনিংসে সিলভার ডাক হয়ে ফিরলেন সাকিব।