পিচ যেমনই হোক, জসপ্রীত বুমরা নিজের মতো গড়ে নেন! পরিস্থিতি যেন তাই বলছে। নতুন বল হোক বা পুরনো। পাটা পিচ হোক বা গ্রিন টপ। বুমরার কাছে সবরকম পরিস্থিতির জন্যই অস্ত্র মজুত রয়েছে। চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ঝুলিতে চার উইকেট। নতুন বলে যেমন উইকেট নিয়েছেন, তেমনই পুরনো বলেও। হাসান মাহমুদের আউটের ক্ষেত্রেই বলা যাক। পুরনো বল, সুইং নেই। স্লোয়ার দিয়ে সেট করেন। হঠাৎই ১৪০ কিমি/ঘণ্টা গতির লেন্থ বল। উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তাসকিন আহমেদকে একের পর এক বাউন্সার মারছিলেন। বুমরার কাছে সাধারণত যা দেখা যায় না। তবে বাউন্সার দিয়ে সেট করেই ইয়র্কার। উইকেট ভেঙে দেন। মুগ্ধকর বোলিংয়ের পর দিনের শেষে কী বলছেন বুমরা?
ভারতীয় শিবিরে সবচেয়ে বেশি চাপ তৈরি করতে পারতেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ ব্যাটার। সেট হয়ে গেলে বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা রাখেন। পিচ থেকে কোনও সাহায্য পাচ্ছিলেন না বোলাররা। সে সময়ই তাঁকে আউট করেন বুমরা। দিনের শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলেন, ‘গত কাল প্রথম সেশনে আপশোস হয়েছিল। ভেবেছিলাম আমরা প্রথমে বল করলে ভালো হত। তবে আজও পিচ দেখে মনে হয়েছে কোনও অসুবিধা নেই। পিচ থেকে হেল্প রয়েছে। মুশফিকুরের আউটের ক্ষেত্রে বলতে পারি, বল সামান্য পুরনো ছিল। ফুল লেন্থ ট্রাই করেছিলাম। তারপর বৈচিত্র চেষ্টা করি। ওর রান করা আটকানো প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সৌভাগ্যবশত, উইকেটটাও পেয়ে গিয়েছি।’
তেমনই তাসকিনকে সেট করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে সময় অপশন ছিল না। রিভার্স সুইং হচ্ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এমনটা করেছি অনেক বার। কয়েকটা বাউন্সার দিয়ে ইয়র্কার। এখানেও সেটাই করেছি।’ ঘরোয়া ক্রিকেটে যাঁর নেতৃত্বে খেলেছেন, সেই পার্থিব প্যাটেল বলে ওঠেন, ওকে টেস্টে এমন বাউন্সার দিতে দেখিনি। মজা করে বুমরা বলেন, ‘ও আমাকে রঞ্জি ট্রফিতে প্রচুর বাউন্সার দিতে দেখেছে, সেটা বলল না। পিচ থেকে মুভমেন্ট না থাকায় অনেক কিছুই চেষ্টা করছিলাম। আমরাও ব্যাট করতে এলে এমন পরিস্থিতিতে পড়ি। বাউন্সার সামলাতে হয়। ইয়র্কারও আসে।’