
কলকাতা: স্বপ্নের নায়ককে দেখেই কেউ কেউ বড় হন। আবার কেউ কেউ পেয়ে যান মেন্টর। যাঁর ছত্রছায়ায় অনেক কিছুই দেখা ও শেখা যায়। এই প্রজন্মের এক ক্রিকেটারকে এ ভাবেই দাদার মতো করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এক তারকা। আইপিএলে এক টিমে খেলেন ঠিকই, সেই দাদাই আবার এখন প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু দাদা আর ভাইয়ের গল্পই এখন শোনা যাচ্ছে এজবাস্টনে। জো রুটকে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরাদের তালিকায় রাখা হয়। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য। মেন্টরশিপের জন্যও রুট এখন আলোচনায়। তাঁর হাত ধরেই সাফল্য পাচ্ছেন যশস্বী জয়সওয়াল। এই গল্প ফাঁস করে দিয়েছেন কুমার সঙ্গকারা।
রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর সঙ্গকারা। করিয়েছেন কোচিংও। যশস্বী উঠে এসেছেন ওই টিম থেকেই। রাজস্থান রয়্যালসে যশস্বীর টিমমেট ছিলেন রুট। সিনিয়রের কাছেই ক্রিকেটের অনেক কিছু শেখেন যশস্বী। সুযোগ পেলেই সময় কাটান তাঁর সঙ্গে। ইংল্যান্ডে যশস্বীর সাফল্যের পিছনেও রয়েছেন দাদা রুট। সঙ্গকারা বলেছেন, ‘আমরা তো যশস্বীকে জোসাওয়াল নামে ডাকি। তার কারণ ও সব সময় রুটের সঙ্গে থাকে। সব কিছু শুষে নেয়।’
ইংল্যান্ড সফরে যশস্বী শুরু থেকেই ছন্দে। বাঁ হাতি ওপেনার প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে সেঞ্চুরি। অনেক দিন ওপেনার হিসেবে দলকে ভরসা দিচ্ছেন যশস্বী। সঙ্গকারা বলেছেন, ‘ওরা শুধু যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করে তাই নয়, ক্রিকেট থেকে জীবন সব কিছু নিয়েই আলোচনা করে। রুটের সঙ্গে নিয়ম করে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাটায় যশস্বী। হয় ও প্রশ্ন করে যায়, নয়তো রুট যা বলে মন দিয়ে শোনে।’