
এ যেন চেতেশ্বর পূজারার মতো পরিস্থিতি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একের পর এক আঘাত শরীরে নিয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউডরা একের পর এক ডেলিভারি করে যাচ্ছিলেন। পঞ্চম দিনের পিচে শরীরে একের পর আঘাত। কখনও পাঁজর, কখনও হাত, আবার কখনও হেলমেট। ক্রিজে জড়বস্তুর মতোই দাঁড়িয়ে থেকে একের পর এক ধাক্কা সামলে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টারে হার বাঁচাতে এমনই লড়াই তরুণ ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের।
সিরিজের প্রথম টেস্ট অর্থাৎ লিডসে সেঞ্চুরি করেছিলেন শুভমন গিল। যদিও ম্যাচ হেরেছিল। ক্যাপ্টেন হিসেবে শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রথমবার এজবাস্টনে টেস্ট জয়ের ইতিহাস গড়েছিল ভারত। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ইনিংস হারের ভ্রুকুটি ভারতের সামনে। তবে পুরোটা দিন ব্যাট করলে অন্তত ড্র করা যেতে পারে। সেই মরিয়া চেষ্টাই করে যাচ্ছেন শুভমন গিল।
সিরিজ শুরুর আগে একটা কথা পরিষ্কার করেছিলেন, ইংল্যান্ডের মাটিতে এই সিরিজে ভালো ব্যাটারও হয়ে উঠতে চান। সেটা এখনও অবধি করে দেখাতে পেরেছেন। তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। এর মধ্যে একটি ডাবল সেঞ্চুরিও। ম্যাঞ্চেস্টারে আরও একটা সেঞ্চুরি শুভমন গিলের। ম্যাচের পঞ্চম দিন কখনও হাতে, পাঁজরে আবার হেলমেটেও বলের আঘাত নিলেন। তবে ক্রিজ ছাড়েননি। ২২৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১০৩ রানে ফেরেন শুভমন।