
আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন অধ্য়ায় শুরু হতে চলেছে। ইংল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। দুই কিংবদন্তি রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। টেস্ট ক্যাপ্টেন করা হয়েছে শুভমন গিলকে। দলে একঝাঁক নতুন মুখ। আশঙ্কার মাঝে প্রত্যাশাও রয়েছে। ২০২০-২১ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জিতেছিল ভারত। সে সময়ও চোট এবং নানা কারণে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়েই ভারতীয় দল সিরিজ জিতেছিল। সে কারণেই প্রত্যাশা। সিরিজ শুরুর আগে একটু অতীতে নজর দেওয়া যাক। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে ইংল্যান্ডে সেরা পাঁচ ইনিংস। এগুলিকেই সেরা কি বলা যায়?
তালিকায় পঞ্চম স্থানে রাহুল দ্রাবিড়ের একটা ইনিংসকে রাখা যায়। ২০১১ সালে ওভালে ১৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। সিরিজ ০-৪ ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। খুবই খারাপ। যদিও দ্রাবিড়ের ইনিংস সকলের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছিল। সেই ম্যাচে ইনিংস ওপেন করেছিলেন দ্রাবিড়। ২৬৬ ডেলিভারি সামলেছেন। ২০টি বাউন্ডারি সহ করেছিলেন অপরাজিত ১৪৬।
চতুর্থ স্থানে রাখা যায় গত সফরে রোহিত শর্মার ইনিংসকে। ওভালে ১২৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। বিদেশের মাটিতে লাল-বলে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। ২০২১ ইংল্যান্ড সফরে চতুর্থ টেস্ট। ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষা দিয়েছিলেন রোহিত। ৯৯ রানে পিছিয়ে ছিল ভারত। রোহিতের ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায়। ১৪টি বাউন্ডারি এবং একটি ছয়। ২৫৬ বলে ১২৭ রান করেছিলেন রোহিত।
তৃতীয় স্থানে গত সফরে লোকেশ রাহুলের ইনিংস। আইকনিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিতের সঙ্গে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন। ১২৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন রাহুল। লর্ডসে সেঞ্চুরি করা সবসময়ই স্পেশাল, রাহুলের ইনিংসও তেমনই ছিল।
সদ্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া বিরাট কোহলির একটা ইনিংস রাখা যায় দ্বিতীয় স্থানে। ২০১৮ সালে এজবাস্টন টেস্টে ১৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড তখন কেরিয়ারের প্রাইম টাইমে। ক্যাপ্টেন কোহলি তাঁদের সামলে এমন একটা ইনিংস খেলেছিলেন, যা আজও ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে স্বপ্নের মতো। ভারত ৫৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল। এমন সময় ক্রিজে কোহলি। ২২টি বাউন্ডারি এবং একটি ছয়। ভারত যদিও ৩১ রানে ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল।
তালিকায় শীর্ষে থাকবে অজিঙ্ক রাহানের একটা ইনিংস। ২০১৪ ইংল্যান্ড সফরে ভারত একটি ম্যাচেই জিতেছিল। এর অন্যতম কারণ অজিঙ্ক রাহানের ইনিংস। সুইংয়ের পরিস্থিতিতে বুদ্ধিদীপ্ত এবং সাহসী ইনিংস। ১০৩ রান করেছিলেন রাহানে।