
ওভালের গ্রিন টপে যে ব্যাটারদের পরিস্থিতি কঠিন হতে চলেছে, সেটা ম্যাচের প্রথম দিনই ভালো ভাবে বোঝা গিয়েছিল। বারবার বৃষ্টিও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপরও স্বস্তিতে ছিল ভারতই। সৌজন্যে করুণ নায়ার। হাফসেঞ্চুরি করে ক্রিজে ছিলেন। সঙ্গী ওয়াশিংটন সুন্দর। ২০০ পেরিয়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে ২৫০ অবধি পৌঁছনো কঠিন ছিল না। কিন্তু সেটা আর হল না। শেষ চার উইকেট পড়ল মাত্র ৬ রানের ব্যবধানেই। এরপর ইংল্যান্ড ওপেনারদের তাণ্ডব। ভারতকে ম্যাচে ফেরান সিরাজ-কৃষ্ণ। দ্বিতীয় ইনিংসে জ্যাজ়বল। আপাতত সেটাই বড় অ্যাডভান্টেজ ভারতের।
ভারতের প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানের জবাবে ইংল্য়ান্ড ২৪৭ রানে অলআউট। ওপেনিং জুটিতে ৯২ রান যোগ করেন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। এ দিনও থাবা বসায় বৃষ্টি। লাঞ্চ ব্রেকের আগে কঠিন পরিস্থিতি ছিল মহম্মদ সিরাজের। তাঁর বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করেছেন দুই ওপেনার। লাঞ্চের পর এ যেন নতুন সিরাজ। সঙ্গ দিলেন আকাশ দীপ, প্রসিধ কৃষ্ণও। আকাশ দীপ মাত্র একটি উইকেট নিলেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণ নেন ৪টি করে উইকেট। ক্রিস ওকস এই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। বোলিং করবেন না। ব্যাটিংয়েও পাওয়া যাবে না।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের লিড মাত্র ২৩ রানের। সেটা পার করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভালো হয়নি। ছন্দে থাকা ওপেনার লোকেশ রাহুলকে দ্রুতই হারায় ভারত। তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল সিরিজের প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। সিরিজের শেষ ইনিংসটাও যেন স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া। সাই সুদর্শনের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন। ইংল্য়ান্ডের বাজ়বলের জবাব ভারত দিল জ্যাজ়বলে। যশস্বী একশোর উপর স্ট্রাইকরেটে রান তোলেন।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সব মিলিয়ে ১৬ উইকেট পড়ে। সংখ্যাটা ১৫ হতে পারত। দিনের খেলার শেষ দিকে সাই সুদর্শনের উইকেট হারায় ভারত। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আকাশ দীপকে পাঠানো হয়। বাউন্ডারি মেরে খাতা খোলেন। মন্দ আলোয় এক্সট্রাটাইমের কিছুটা আগেই খেলা শেষ করা হয়। দিনের শেষে ২ উইকেটে ৭৫ রান তুলে নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে যশস্বী ৪৯ বলে ৫১ রানে ক্রিজে। ভারতের লিড ৫২ রানের। এই পিচে ৩০০ টার্গেট দিতে পারলেও ভারতের ম্যাচ জয় এবং সিরিজ ড্রয়ের সম্ভাবনা থাকবে।