লোকেশ রাহুল
বিরাট কোহলির (VIrat Kohli) পর ভারতের নতুন ক্যাপ্টেনের খোঁজ চলছিল। অনেক নাম ঘোরাফেরা করছিল সে সময়। সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয়েছিল যাঁকে, তিন ফর্ম্যাটেই নিয়মিত ক্রিকেটার। রানও করেন। ভরসা করা যায়। শেষ পর্যন্ত পুরো গল্প ঘুরে গিয়ে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ক্যাপ্টেন হয়ে যান। তাও কান্নানুর লোকেশ রাহুলের প্রতিভা বা ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা নিয়ে আজও কথা হয়। হবেও। গত কয়েকটা মরসুম অবশ্য রাহুলকে কঠিন সময়ের মধ্যে যেতে হয়েছে। বারবার চোটের কবলে পড়েছেন। কবজি, পিঠ, কোমর, হ্যামস্ট্রিংয়ে ঘনঘন চোট পেয়েছেন। ফিটনেস নিয়ে কথা উঠেছে বারবার। চোট সারিয়ে আবার ফিরেছেন মাঠে। কিন্তু ছিটকেও গিয়েছেন। অনিশ্চয়তার এই অংশটুকু বাদ দিলে ভারতীয় টিমে রাহুলের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডার, স্রেফ ব্যাটার থেকে কিপার, টিমের যখনই প্রয়োজন পড়েছে, সব রকম ভূমিকায় মানিয়ে নিয়েছেন।
বাবা-মা দু’জনেই প্রফেসর। কিন্তু দুই অভিভাবক চেয়েছিলেন ছেলে ক্রিকেটার হোন। ১০ বছর বয়স থেকেই ক্রিকেট ট্রেনিং শুরু। ১৮ বছর বয়সে ম্য়াঙ্গালোর থেকে বেঙ্গালুরুতে পাকাপাকি চলে আসেন রাহুল। ২০১০ সালে কর্নাটকের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। সেই বছরই অনূর্ধ্ব ১৯ যুব বিশ্বকাপও খেলেন। রঞ্জি ট্রফিতে রান, সেঞ্চুরি তাঁকে নজরে এনে দিয়েছিল। একই সঙ্গে আরসিবির হয়ে ২০১৩ সালে আইপিএলে পা রাখেন। আক্রমণাত্মক হলেও ভরসা দিতে পারেন। টিমকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। এ হেন রাহুল যে দ্রুত ভারতীয় টিমে ঢুকে পড়বেন, তা মোটামুটি জানাই ছিল। হয়েও ছিল তাই। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে অভিষেক হয়। কিন্তু চরম ব্যর্থ হন। পরের সিডনি টেস্টে ১১০ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন। আইপিএলে আরসিবির হয়ে শুরু করলেও পঞ্জাবের হয়ে খেলেন ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। ২০২২ সালে আবার যোগ দেন লখনউতে। ক্যাপ্টেন হিসেবে টিমকে এগিয়ে চান রাহুল।