AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad News: মোদীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধঘোষণা’ করেছিলেন, ধুলিয়ানের হামলার ঘটনাতেও পুরপ্রধান ইনজামামের ‘উস্কানি’?

Murshidabad violence: বস্তুত, নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। তার মধ্যে ধুলিয়ান ছিল অন্যতম। সেখানকার সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর-দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

Murshidabad News: মোদীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধঘোষণা’ করেছিলেন, ধুলিয়ানের হামলার ঘটনাতেও পুরপ্রধান ইনজামামের 'উস্কানি'?
পুরপ্রধান ইনজামাম উল ইসলামেরImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2025 | 10:59 AM
Share

ধুলিয়ান (মুর্শিদাবাদ): ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘অ্যালানে জং-এ’ নামতে হবে।’ অর্থাৎ ‘যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে’, এমনই হুঙ্কার দিয়েছিলেন ধুলিয়ানের পুরসভা চেয়ারম্যান ইনজামাম উল ইসলাম। এবার তাঁকেই দেখা গেল ধুলিয়ানে ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আগেই দাবি করেছিলেন, পুরসভা চেয়ারম্যান হামলার ঘটনায় উপস্থিতি ছিলেন। এরপর ২০২৫-এর ১১ এপ্রিল একটি ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা)। সেখানেও দেখা গেল ইনজামাম উল ইসলামকে। তিনি স্বীকারও করলেন, ঘটনার দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে ‘যুদ্ধ’ লড়তে নয়, ‘যুদ্ধ’ থামাতে। ধুলিয়ানের পুরসভা চেয়ারম্যান ইনজামাম উল ইসলাম বলেন, “আমি পৌরসভার কাজে ছিলাম। আমাদের কাউন্সিলরের স্বামী শঙ্কর সরকারের ফোনে একটা ফোন আসে। সঙ্গে-সঙ্গে বাইকে চেপে পৌঁছে যাই। উভয়পক্ষের মানুষের কাছে গিয়ে ঘটনা থামানোর চেষ্টা করি। এই ভিডিয়ো নিয়ে আমায় বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিডিয়ো বিকৃত করে আমায় বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছ।” এই ঘটনায় আবার ইনজামাম পাশে পেলেন দলকেও। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “ঝাপসা ভিডিয়োতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না হামলা করতে যাচ্ছে নাকি থামাতে যাচ্ছে। ওইখানে একটা কেউ ছুটে গেল সেই হামলা করতে যাচ্ছে এটা কাজের কথা নয়।

 

বস্তুত, নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। তার মধ্যে ধুলিয়ান ছিল অন্যতম। সেখানকার সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর-দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী তখনই অভিযোগ করেছিলেন, এই হিংসার ঘটনার পিছনে মদত রয়েছে পুরপ্রধান ইনজামাম উল ইসলামের।

কী দেখা যাচ্ছে ভিডিয়ো ফুটেজে?

সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী লাঠি হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাস্তায়। তারা ছুটে বেড়াচ্ছে। ইট ছুড়ছে। এলাকাবাসীর দাবি, পুরপ্রধানের কথামতোই একদল ছেলে সেইদিকে লাঠি হাতে তেড়ে যাচ্ছে।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “চেয়ারম্যান ছিল…ছিল… আমরা বলছি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তো মোবাইলে। ফোনে সেই ছবি তোলা আছে।” এলাকাবাসীর এও দাবি, সাহায্যের জন্য বহুবার কাকুতি-মিনতি করার পরও তা এড়িয়ে যান ইনজামাম। তাঁদের অভিযোগ, পুরপ্রধান প্রথমে সামশেরগঞ্জে গঙ্গার পাড়ে মঞ্চ করে বিতর্কিত বক্তব্য রাখেন। তারপর শনিবার (অশান্তির দিন) নিজে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। পুরপ্রধানের উস্কানি এবং ইন্ধন এই ঘটনায় ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। যদিও, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ধুলিয়ান পুরসভার পুরপ্রধান ইনজামাম বলেন, “আমি এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেব না। তবে এই ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছে আমি তদন্ত চাই। NIA তদন্ত হোক। অপরাধীরা গ্রেফতার হোক।

প্রসঙ্গত, এর আগে নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে নেমে ইনজামামের হুঙ্কার, “আমি ছোটবেলায় একটা সিনেমা দেখেছিলাম, অ্যালানে জং। এবার এই ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে মোদীর বিরুদ্ধে সেই অ্যালানে জং-এ নামতে হবে।” এই প্রসঙ্গে, সেই সময় ইনজামামকে টিভি৯ বাংলার তরফে ফোন করা হলে, তিনি ফোন তুলেছিলেন। তাকে সেই ভিডিয়ো শোনানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই ফোন কেটে দিয়েছিলেন ওই নেতা।