
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে এই ফর্ম্যাটে দেশের জার্সিকে বিদায় জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। একই সঙ্গে বিরাট-জাডেজাও। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অবশ্য টি-টোয়েন্টি খেলছেন। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজের আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকেও অবসর নেন রোহিত শর্মা। টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হয় শুভমন গিলকে। রোহিতের ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যে টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলিও। কিন্তু কেন অবসর, তা কেউই খোলসা করেননি। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা অবশ্য নিজেদের মতো করে বুঝে নিয়েছেন, আদতে এটি অবসর নিতে বাধ্য করাও হতে পারে! তরুণদের সুযোগ দিতেই হয়তো কিংবদন্তিদের বিদায় নিতে হত। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে নিজের মত জানালেন ভারতের সদ্য প্রাক্তন টেস্ট ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। কারণও কি খোলসা করে দিলেন?
টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও ওয়ান ডে ক্রিকেটে দেশের জার্সিতে খেলছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি। এশিয়া কাপের পর অস্ট্রেলিয়া সফর রয়েছে ভারতের। তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে রোহিত-বিরাটের খেলার কথা। স্পনসরের একটি ইভেন্টে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে নানা কথা বলেন রোহিত।
ভারতীয় টেস্ট টিমের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন রোহিত বলেন, ‘এই ফর্ম্যাটের জন্য প্রচুর প্রস্তুতির প্রয়োজন। এই ফর্ম্যাটে দীর্ঘস্থায়ী হতে হয়। পাঁচ দিন খেলতে হয়। মানসিক ভাবে যা খুবই চ্যালেঞ্জিং। সব কিছু নিংড়ে নেয়। তবে প্রত্যেকটা ক্রিকেটারই প্রথম শ্রেনির ম্যাচ খেলেই আসে। আমরা যখন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম, মুম্বই কিংবা ক্রিকেটেও দু-দিনের ম্যাচ খেলেছি। ফলে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে সাহায্য করেছে।’
একজন ক্রিকেটারের পরিশ্রমের কাহিনি তুলে ধরার পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আরও যোগ করেন, ‘দীর্ঘ ফর্ম্যাটে খেলার জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি জরুরি মনসংযোগ। কারণ, এটাই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তর। মানসিক ভাবে সবসময় তরতাজা থাকতে হয়। পর্দার পেছনে অনেক কাজ, লড়াই, পরিশ্রম থাকে। ওই যে বললাম, প্রস্তুতি। আমিও আমার সেই প্রস্তুতিতেই ফিরছি।’
এই কথা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন রোহিত। বলা যায়, ইঙ্গিতও। অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ান ডে সিরিজই শুধু নয়, ২০২৭ বিশ্বকাপ অবধিও খেলার ইচ্ছে এবং তাগিদ রয়েছে। তবে, একটা প্রশ্নও থাকছে। টেস্ট খেলার মতো কি মনসংযোগ ছিল না আর?