ক্রিকেটাররা কি শুধু ক্রিকেটাই ভালো পারেন? একেবারেই না। ক্রিকেটাররা অন্যান্য খেলাতেও পারদর্শী। বিরাট কোহলি দুর্দান্ত ফুটবল খেলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনিও ফুটবলে গোলকিপিং করতেন, ব্যাডমিন্টনেও দুর্দান্ত। খেলার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও আকর্ষণ থাকে। ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর যেমন। শোয়েব আখতারের বাউন্সারে যেমন দক্ষতায় হুক করতেন, ‘কুক’-এর ক্ষেত্রেও তেমনই। অনেক ক্রিকেটারই সচিনের রান্না করা খাবার খেয়েছেন। তাঁর সমসাময়িক প্রয়াত শেন ওয়ার্নও একবার সেই কাহিনি শুনিয়েছিলেন। সচিনের বাড়ি যাওয়া, তাঁর রান্না খাওয়া এবং সেই আতিথেয়তা আজীবন মনে রেখেছিলেন কিংবদন্তি ওয়ার্ন। আচ্ছা ভারতীয় দলের বর্তমান হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের রান্নার হাত কেমন? সেই কাহিনি শুনিয়েছেন গৌতম গম্ভীর নিজেই।
দিল্লি টিম, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘসময় একসঙ্গে খেলেছেন অমিত মিশ্র ও গৌতম গম্ভীর। তাঁরা শুধুই সতীর্থ নন, খুব ভালো বন্ধুও। তুই-তোকারি সম্পর্ক। অমিত মিশ্রর চায়ের প্রচুর নেশা। চা-খোরও বলা যায়। নিজেও খুব ভালো চা বানাতে পারেন। সেই প্রসঙ্গ থেকেই গৌতম গম্ভীরের রান্নার দক্ষতা উঠে আসে। ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন শো-তে সঞ্চালক গৌরব কাপুর ভারতীয় দলের বর্তমান হেড কোচ গম্ভীরের কাছে জানতে চান, অমিত মিশ্র কখনও তাঁকে দিয়ে চা বানিয়েছেন কিনা। গৌরবের প্রশ্নে গৌতম গম্ভীর হেসে বলেন, ‘না না, সেটা পারেনি। আমি চা পানও করি না, বানাতেও পারি না।’
সেই প্রসঙ্গ ধরেই গৌতমকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কোনও রান্না পারেন? হেসেই অস্থির গৌতম গম্ভীর। এরপর বলেন, ‘আমি কিছুই রান্না করতে পারি না। সত্যি বলতে আমার এটাই মনে নেই, আজ অবধি নিজের বাড়ির কিচেনে ঢুকেছি কিনা।’ এই অবধিতেই থামেননি গৌতম গম্ভীর। গল্পের আসর তখন জমে উঠেছে। যেন পছন্দের টপিক পেয়েছেন। তাঁর কাছে দুর্দান্ত তথ্যও রয়েছে। সেই রকম ভাবেই মজার গল্প তুলে ধরেন গৌতম গম্ভীর।
একটু ভূমিকা নিয়ে কোনওরকমে হাসি চাপতে চাপতে গম্ভীর শুরু করেন, ‘একটা ঘটনা বলি। নিজের বাড়ির ঘটনা। নাতাশা নিজের মায়ের কাছে গিয়েছে। রাতে আমার প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে। তো ভাবলাম যাই, কিচেন কিছু তো থাকবে, নিয়ে আসি। কিচেনে ঢুকে দেখি বেশ কিছু ফল রয়েছে। এ বার চামচ প্রয়োজন। কাটা চামচ হলেও চলবে। আধঘণ্টা ধরে না তো এমনি চামচ খুঁজে পেয়েছি, আর না কাটা চামচ। রাত তখন ১টা বাজে। নাতাশাকে ফোন করলাম। ওকে ফোনে বলি, আচ্ছা আমাদের কিচেনে চামচ কোথায় থাকে! ও এতটাই বিরক্ত হয়েছিল, এ কেমন ছেলে যে নিজের বাড়ির কিচেনে কোথায় চামচ থাকে সেটা জানে না!’ কথা শেষ করে নিজেও হাসতে থাকেন গম্ভীর।